প্রায় এক যুগ পর বন্ধ হয়েছে হলসমূহ। শিক্ষার্থীরা সবাই ক্যাম্পাস ছেড়ে নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।
ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন মল চত্বর। ক্যাম্পাস খোলার সময়ে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কারণে সবুজ ঘাসের দেথা মিলত কম। ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের ভিড়, অনিয়ন্ত্রিত কার ড্রাইভিং এর ফলে কর্তৃপক্ষ সবুজ ঘাস লাগালেও নষ্ট হয়ে যেত কয়েকদিনের মধ্যে। কিন্তু এবার উল্টো মল চত্বরের সবুজ ঘাসের পরিমাণ এতই বেড়েছে যেন সবুজ গালিচা। শুধু এই এলাকা নয়, কলা ভবন সংলগ্ন এইতিহাসিক বটতলা, কার্জন হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর আঙ্গিনা সব সবুজে ছেয়ে গেছে।
দীর্ঘ ছুটির পর অনেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে ক্যাম্পাসে গিয়েই অবাক হয়েছেন। নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদীর ভাষ্যও তাই্। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে যাওয়ার পর মনে হলে একটি সবুজ বনে প্রবেশ করেছি। যেখানে যে কারও মন শীতল হয়ে যাবে। মনে একাগ্রতা আসবে। সবসময়ই যদি এই পরিবেশ বজায় থাকে তাহলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় আরও বেশি মনোনিবেশ করতে পারবে। সর্বোপরি, এটিই হচ্ছে পড়াশোনা করার সর্বোত্তম পরিবেশ। আমার মনে হচ্ছে, ক্যাম্পাসে অনেক বছর ধরে চেপে থাকা সবুজগুলো মানুষের অনুপস্থিতিতে নিজেদের মত মেলে দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মফিজুল ইসলাম সানওয়ার বলেন, ক্যাম্পাসে সবুজায়ন কর্মসূচী নিঃসন্দেহে পরিবেশবান্ধব একটা কার্যক্রম বলে মনে করি। এতে পরিবেশ দূষণ যেমন কিছুটা হলেও কমবে, তেমনি সৌন্দর্য বর্ধনের কাজটাও হয়ে যাবে। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যাতে সবুজায়ন হলেও লোকজনের চলাচল ও অবসর যাপনে যেন তা কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২০
এসকেবি/এমএমএস