ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী বছর লন্ডনে শতবর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাবির অর্জন তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
শনিবার (৮ আগস্ট) লন্ডনে ঢাবির অ্যালামনাইদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ঢাবি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন ও সংকট’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বক্তব্য রাখেন ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, যুক্তরাজ্যের লিংকন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার ও কমনওয়েলথ অ্যাডভাইজার কমিশনের পরামর্শক ড. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক ও ঢাবি ক্লাব ইউকের ম্যানেজমেন্টের সদস্য তানভীর আহমেদ।
উপ-উপাচার্য বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আগামী বছর লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঢাবির অর্জন তুলে ধরা হবে। লন্ডনের অ্যালামনাইদের সঙ্গে নিয়ে শতবর্ষ উদযাপনে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাবি। টাইমস হায়ার এডুকেশনের ঢাবির আন্তর্জাতিক র্যাংকিং প্রাপ্তিতে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে সামনের দিনগুলোতে ঢাবি ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিদেশে অবস্থানরত অ্যালামনাইদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাদেরকে যুক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাবি টার্মিনাল ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী। গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি দেওয়া ও শিক্ষার্থীদের চাকরি জীবনে প্রবেশ করানোতে বেশি মনযোগ দেয় ঢাবি। গবেষণা নির্ভর শিক্ষা না হওয়ায় ঢাবির উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়। ঢাবি বঙ্গবন্ধুর মতো জাতির পিতা তৈরি করলেও নোবেল লরিয়েট তৈরি করতে পারছে না। আধুনিক যন্ত্রপাতির স্বল্পতা রয়েছে, গবেষণায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। পিএইচডির শিক্ষার্থী খুব কম, আন্ডার গ্রাজুয়েট লেভেলের শিক্ষার্থী বেশি। বিদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নেই। গবেষণা মনস্ক অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য উৎসাহ নেই। সামনের দিনগুলোতে ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাবনাও বিবেচনায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২০
এসকেবি/এএটি