ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) ‘করোনা মহামারিকালে খাদ্য নিরাপত্তা ও বাস্তুসংস্থান ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক ই-সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আইইউবিএটি ইনস্টিটিউট অব এসডিজি স্টাডিজ ও আরসিই গ্রেটার ঢাকার যৌথ উদ্যোগে এ ই-সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ড. ক্রিস্টোফার জনসন, টিম লিডার এনআরএম, এফএও। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ড. আবদেশ কুমার গাঙ্গোয়ার, আহ্বায়ক, এশিয়া-প্যাসিফিক আরসিই-র সমন্বয় কমিটি। ই-সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটির ট্রেজারার, আরসিই গ্রেটার ঢাকার চেয়ারপারসন ও অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস। কীনোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটি ইনস্টিটিউট অব এসডিজি স্টাডিজের পরিচালক ওআরসিই গ্রেটার ঢাকার সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক ড. হামিদা আখতার বেগম, উপ-উপাচার্য, আইইউবিএটি; মো. মনিরুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব (এসডিজি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়; জিয়াউল হক, পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর; ড. মো. নাসির-উদ-দৌলা, পরিচালক, বিসিসিট; শিমুল সেন, সিনিয়র সহকারী প্রধান, পরিকল্পনা কমিশন; অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়া; ড. মোহাম্মদ রেহান দস্তগীর, উপ-পরিচালক আইআইএসএস; অধ্যাপক ড. মিহির কুমার রয়, ডিন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সিটি বিশ্ববিদ্যালয়; ড. ফেরদৌস আহমেদ, সহকারী পরিচালক, আইআইএসএস; ড. সায়মা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক, আইইউবিএটি।
সেমিনারে করোনা ভাইরাস মহামারিকালীন খাদ্য নিরাপত্তা ও বাস্তুসংস্থান ব্যবস্থাপনার ওপর বিশদ আলোচনায় অতিথিরা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা আমাদের জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
অতিথিরা আরও বলেন, কোভিড পরবর্তী বাংলাদেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। কৃষিতে অর্জিত সাফল্যকে ধরে রাখতে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার। করোনাকালে এবং মহামারি পরবর্তীকালে এ কথা আরও বিশেষভাবে প্রযোজ্য। টেকসই কৃষি ব্যবস্থায় চাষাবাদের সঙ্গে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত অন্য দিকগুলোর মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা প্রয়োজন। টেকসই কৃষি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন এমনভাবে করতে হবে যেন তা সম্পদ সাশ্রয়ী, সামাজিকভাবে সহায়ক, বাণিজ্যিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশবান্ধব হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
আরবি/