ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: হল খুলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সংগঠন দুটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপাচার্যের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি জমা দেন।

ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করেই স্নাতক সমাপনী বর্ষ ও স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করেছে। সেশনজট নিরসন এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জরুরি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য হলে থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত না করে এ ধরনের সিদ্ধান্তগ্রহণ একপাক্ষিক, শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিপরীত, বিদ্যমান বাস্তবতায় অনুপযুক্ত সমাধান এবং কোনো অবস্থাতেই অভিভাবকসুলভ নয়।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, নারী শিক্ষার্থী ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষার্থী, তাদের জন্য এটি স্পষ্টতই অনভিপ্রেত। করোনাকালীন বাস্তবতায় আর্থিক সক্ষমতার বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই প্রস্তাবনায় শিক্ষার্থীদের মতামত প্রতিফলিত হয়নি, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত হয়নি এবং হলে থাকার জন্য শিক্ষার্থীদের অধিকারের সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই সংকট-প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষা-শান্তি-প্রগতির ঐতিহ্যিক ধারায় দায়বদ্ধ। আমরা মনে করি, পরীক্ষার্থীদের জন্য হল উন্মুক্ত করে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে, সঠিক রুপকল্প ও বিভিন্ন স্তরে পরীক্ষা গ্রহণ করা বাস্তবসম্মত এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদার জন্য উত্তম সমাধান।

অপরদিকে ছাত্র ইউনিয়ন তাদের স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে অনার্স ৪র্থ বর্ষ ও মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত উদাসীনভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা দূর না করে, অর্থাৎ হল বন্ধ রেখে পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছে, যা সুস্পষ্টভাবেই একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। এমনকি পূর্বেও সকল শিক্ষার্থীদের জন্য সমান অংশগ্রহণের সুবিধা নিশ্চিত না করেই অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে, যার বিরোধিতা করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন। এমন অবস্থায় যেকোনো পরীক্ষা গ্রহণের পূর্বে শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিয়ে আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
এসকেবি/এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।