ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

ঢাকা: বাংলানিউজে প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (এডুকো বাংলাদেশ)।

২১ নভেম্বর ‘স্টাডি সেন্টারের আড়ালে ক্যাম্পাস, টিউশন ফি ৪০ লাখ!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বিভিন্ন ভ্রান্তিপূর্ণ তথ্য উপস্থান হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানানো হয়।

ইউসিবি থেকে লিখিতভাবে দেওয়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনের অংশে প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, কোনো প্রতিবেদকের সঙ্গে এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি।

এডুকো বাংলাদেশের সিইও ড. সন্দীপ অনন্তনারায়ণের পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, প্রতিবেদনের শিরোনামটি বিভ্রান্তিকর। ইউসিবি কোনো শাখা ক্যাম্পাস নয়। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত একটি স্টাডি সেন্টার। আমরা কোনো শাখা ক্যাম্পাস চালাচ্ছি না; বরং আমরা মোনাশের অন্যান্য গ্লোবাল পার্টনারের মতোই শিক্ষার্থীদের মোনাশ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে তাদের অ্যাকাডেমিক এবং কোচিং সহায়তা প্রদান করছি। মোনাশ ইউনিভার্সিটি বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে ৪০তম অবস্থানে রয়েছে।

ইউসিবি শুধুমাত্র টিউশন ফি হিসেবে তিন বছরের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা নিচ্ছে—এ বিষয়ে বলা হয়, এটি আরেকটি বানোয়াট তথ্য। প্রথমত, বর্তমানে ইউসিবির তিন বছর মেয়াদী কোনো প্রোগ্রাম নেই। দ্বিতীয়ত, প্রতিবেদনে উল্লেখিত অর্থের পরিমাণ সম্পূর্ণ ভুল। শিক্ষার্থীদের জন্য ইউসিবি সাশ্রয়ী প্রোগ্রাম প্রদান করছে, যা সব সাধারণ শিক্ষার্থীর সামর্থের মধ্যে রয়েছে।

‘ইউসিবি বলছে, স্টাডি সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষার জন্য সহায়তা করা হয়। স্টাডি সেন্টার কোনো পাঠ্যক্রমও নির্ধারণ করে না। অথচ আবার তারাই বলেছে, এক বছর পর ক্রেডিট ট্রান্সফার করে অস্ট্রেলিয়া বা মালয়েশিয়ায় মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এমন স্ববিরোধী বক্তব্যে পরিষ্কার হয় যে, মোনাশ স্টাডি সেন্টারের নামে ইউসিবি মূলত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনহীন শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে। ’ 

এ বিষয়ে বলা হয়, ইউসিবির নিজস্ব কোনো পাঠ্যক্রম শিক্ষা দেয় না। এটি মোনাশের পাঠ্যক্রম শিক্ষা দেয়, যা ইউজিসি দায়িত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে এবং পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি ইতিবাচক সুপারিশ প্রদান করেছে; এর ফলস্বরূপ স্টাডি সেন্টারটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর জায়গায় ‘ইউসিবির এমন স্ববিরোধী বক্তব্যে পরিষ্কার হয় যে, ইউসিবি অনুমোদনহীন শাখা ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে’–এ ধরনের বক্তব্য কিভাবে তুলে ধরা হলো? এটি সুস্পষ্ট যে, ইউসিবি শিক্ষার্থীদের যা প্রদান করছে সে ব্যাপারে প্রতিবেদনে একেবারে অযৌক্তিক উপসংহার টানার চেষ্টা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।