ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ববিতে হলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৫ শিক্ষার্থী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
ববিতে হলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৫ শিক্ষার্থী  ববিতে হলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৫ শিক্ষার্থী 

বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিনের খাবার খেয়ে পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ক্যান্টিনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি নিম্নমানের খাবার খেয়ে তাদের এ অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে চারজন শিক্ষার্থীকে বরিশাল সদর হাসপাতালে, অন্যজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এছাড়াও বিগত কয়েকদিনে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থী হলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন বলে জানা যায়।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে শেরে বাংলা হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থতা বোধ করেন। পরে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয় বরিশাল সদর (জেনারেল) হাসপাতাল।  

শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে ক্যান্টিনে খাওয়ার পর থেকেই পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর শুরু হয় ডায়রিয়া। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বমিও করেছেন। পরে বিষয়টি হল প্রভোস্টকে জানানোর চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মো. জাকির হোসেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের তৌহিদুল ইসলাম, গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের আরমান আলী, একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের সাইফুল ইসলাম শাকিল এবং বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের বদরুজ্জামান।  

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন জানান, রাত ৮টার সময় হলের ক্যান্টিন থেকে ফুলকপি ও লালশাক খাই। তারপর রাত ১টার পর থেকে প্রচন্ড পেটে ব্যথা শুরু হয়। আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে লাগাতার বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে রাতেই বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে এখনও চিকিৎসাধীন আছি।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরমান আলী বলেন, রাতে হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর আনুমানিক রাত ৩টার দিকে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা এবং বমি শুরু হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হলে রাতেই চিকিৎসার জন্য বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।

সদর হাসপাতালের ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ভোররাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। খাবারের বিষক্রিয়া থেকে এ সমস্যা হতে পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়ার মোবাইল নম্বরে কল করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, এরকম একটা অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল সরেজমিনে প্রদর্শন করে যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।