ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

শিক্ষক আরাফাতের আয় বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা, আনিসের ৩ মামলা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
শিক্ষক আরাফাতের আয় বছরে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা, আনিসের ৩ মামলা মোহাম্মদ আলী আরাফাতের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় তোলা ছবি

ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের বছরে আয় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আর ঋণ আছে ১৭ লাখ টাকা।

অন্য দিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমানে আয় কম থাকলেও মামলা আছে ৩টি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রার্থীদের জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

হলফনামায় আরাফাত শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এমবিএ উল্লেখ করেছেন। আর পেশা বলেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা।

মো. এ আরাফাতের পিতার নাম মোহাম্মদ সেতাব উদ্দীন, মাতা হাবিবুর নিসা। ঠিকানা ঢাকার গুলশান ২-এ।

শিক্ষকতা পেশা থেকে বছরে আয় করেন ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৫ টাকা, ব্যাংকে আমানত থেকে সুদ পান ৯২ হাজার ৪৭৭ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৬ টাকা।

ব্যাংকে নিজের নামে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৬ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা।

এ ছাড়া নিজের নামে ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৯৯ টাকার শেয়ার আছে।  

আরাফাতের নিজের নামে সঞ্চয়পত্রে স্থায়ী আমানত ৩০ লাখ টাকা, ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকার গাড়ি, ছয় ৬ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। আছে  ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা অ্যাপার্টমেন্ট।

আরাফাতের বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকলেও হাউজ ফাইন্যান্সে ১ কোটি ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৮৬ টাকা ৯০ পয়সা এবং স্ত্রীর নামে অপরিশোধিত শেয়ারে ৮ লাখ টাকা ঋণ আছে।

নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জি এম কাদেরপন্থী প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমানের আয় কম হলেও মামলা রয়েছে ৩টি। এ ছাড়া অতীতে একটি মামলা খারিজ হয়েছে, আর একটি আপস নিষ্পত্তি হয়েছে।

বিএসসি পাস এই প্রার্থীর ঠিকানা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা সড়কে। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তার বর্তমান পেশা ব্যবসা।

বাড়িভাড়া, ব্যবসা ও পেনশন থেকে বছরে তার আয় ১৫ লাখ ১৮৩ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলের আয় ২ লাখ ৪ হাজার টাকা।

আনিসুর রহমানের কাছে নগদ আড়াই লাখ ও স্ত্রীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৭০ হাজার টাকা আছে ও ৫ তোলা স্বর্ণালংকার আছে।

এ ছাড়া ১৭ লাখ টাকার গাড়ি ও ৭ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং আসবাবপত্র রয়েছে জাপার এই প্রার্থীর। আবার ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অকৃষি জমি, ২৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার অ্যাপার্টমেন্ট ও স্ত্রীর নামে ৩৪ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট আছে।

এই নির্বাচনে মোট ১৫ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে ৭ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বাকিদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।  

যাদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে, তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থী সিকদার আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন, গণতন্ত্রী পার্টির মো. কামরুল ইসলাম (চেয়ারম্যান মনোনীত), গণতন্ত্রী পার্টির অশোক কুমার ধর (মহাসচিব মনোনীত), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।

যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা হলেন- জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থী মো. মামুনূর রশিদ, মো. তারিকুল ইসলাম ভূঞাঁ ( স্বতন্ত্র), আবু আজম খান (স্বতন্ত্র), আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), মুসাউর রহমান খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. মজিবুর রহমান ও শেখ আসাদুজ্জামান জালাল।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ জুন। ভোটগ্রহণ হবে ১৭ জুলাই।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, জন ১৮, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।