ঢাকা, বুধবার, ৬ কার্তিক ১৪৩২, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

প্রবাসীদের জন্য সুখবর, ১৬ নভেম্বর উন্মুক্ত হবে ভোট দেওয়ার অ্যাপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৪৫, অক্টোবর ২২, ২০২৫
প্রবাসীদের জন্য সুখবর, ১৬ নভেম্বর উন্মুক্ত হবে ভোট দেওয়ার অ্যাপ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

ঢাকা: প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ১৬ নভেম্বর তাদের জন্য ভোট দেওয়ার অ্যাপ (পোস্টাল ভোট বিডি) উন্মুক্ত করে দেবে সংস্থাটি।

তখন থেকে নিবন্ধন সম্পন্ন করে পরবর্তীতে সংসদ নির্বাচনের ভোট দিতে পারবেন তারা।

বুধবার (২২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সংসদ নির্বাচনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে এ সুখবর দেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিতদের এবং কয়েদিদের জন্য অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তারা নিবন্ধন সম্পন্ন করলে ভোটারের ঠিকানায় ব্যালট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তারপর তারা ভোট দিয়ে সেই ব্যালট আবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। অনলাইন ভিত্তিক এ পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। অ্যাপটি বর্তমানে ট্রায়াল পর্যায়ে রযেছে। আগামী ১৬ নভেম্বর এটা সবার উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি এ সময় প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভোটের পরিবেশ তৈরির স্বার্থে আগে থেকেই ইউএনওদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারো পক্ষে কাজ করা যাবে না। এ সুযোগ কাজে লাগানো আহ্বান।

আরও পড়ুন: প্রবাসীরা যেভাবে ভোট দেবেন, পদ্ধতি জানাল ইসি।  

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ৫ আগস্টের পর কিছুদিন অস্থিতিশীল ছিল। অমুক তমুক এর কথায় অনেক কিছু হয়েছে। কর্মকর্তাদের এখন আর সে ভয় নাই। দুইটা কেয়ারটেকার সরকারের সময় সবচে বেশি ক্ষমতা স্বাধীনতা পেয়েছি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তৈরির আবহ হচ্ছে দেখছি। আপনাদের ভয় নেই। সব ব্যাকিং দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মান ভূলুণ্ঠিত হয়েছে সন্দেহ নাই। এ সরকারের অধীনে সততা নিষ্ঠা দেখানোর সুযোগ। ভয় পাওয়া যাবে না, হিম্মতের সঙ্গে কাজ করতে হবে অস্তিত্বের প্রশ্নে। মোবাইল কোর্ট স্বচ্ছ হতে হবে। মোবাইল কোর্ট নিয়মিত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, চরম বাস্তবতা হচ্ছে এ দেশের নির্বাচন পরিচালনা করে রিটার্নিং অফিসার তথা ডিসি। এ দেশের নির্বাচন পরিচালনা করে যিনি সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পরিচালনা আপনি করেন। অথচ আপনার এখানে বইয়ে আপনার নামটা লেখা নাই। সহজ কথায় বলি নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনার একমাত্র সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পাঁচ কমিশনারের পক্ষে এটা করা সম্ভব না। সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ভোট কালকে আমি কিন্তু স্পর্শ করতেছি না। অভিযোগ আসলো যে রাতেই ভরা হয়ে গেছে। ভোটটা রাতেই হয়ে গেছে। কি তাজ্জব কথা কে করল? নির্বাচন কমিশন কি গিয়েছে? হয়তো আপনি বলবেন যে আমি আমার দায়িত্বকে স্কিপ করছি। অ্যাভয়েড করছি। কিন্তু আসলে আইনগতভাবে তা না। আমি তো বাঁশি বাজিয়ে দিয়েছি।

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখানে থাকে দুই পক্ষ যখন খেলোয়াড়। স্বাভাবিকভাবে সবাই জিততে চায়। জেতার জন্য তার কি আবরণ কি কঠিন সংগ্রামে তিনি লিপ্ত। হবেই। দুই একটা ভোট এর মধ্যে হয়তো কারচুপি হয়ে যায়। যুগ যুগ ধরে চলতেছে, চলে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির অন্য কর্মকর্তারা।

ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।