ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রাজশাহী-সিলেটে মেয়র প্রার্থীর ব্যয়সীমা ১৫ লাখ ৭৫ হাজার  টাকা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
রাজশাহী-সিলেটে মেয়র প্রার্থীর ব্যয়সীমা ১৫ লাখ ৭৫ হাজার  টাকা

ঢাকা: রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যয়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  

দুই সিটির মেয়র প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

এ ছাড়া ওয়ার্ড ভেদে কাউন্সিলর প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ব্যয় করতে পারবেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রার্থীদের অবহিত করতে ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের সীমা 

নির্দেশনায় বলা হয়েছে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ, অনধিক ৫ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা, ৫ লাখ ১ থেকে ১০ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা, ১০ লাখ ১ থেকে ২০ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লাখ ১ ও তদূর্ধ্ব ভোটার সংবলিত সিটির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ৫ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা, ৫ লাখ ১  থেকে ১০ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা, ১০ লাখ ১ থেকে ২০ লাখ ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং ২০ লাখ ১ ও তদূর্ধ্ব ভোটার সংবলিত সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

রাজশাহী সিটির মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন ও সিলেট সিটির ভোটার ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন। অর্থাৎ দুই সিটির একেকজন মেয়র প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ ৭৫ হাজার টাকা এবং নির্বাচনী খরচ বাবদ ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ব্যয়

কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ- অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার ১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার ১ থেকে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার এবং ৫০ হাজার ১ ও তার বেশি ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এ ছাড়া নির্বাচনী ব্যয় বাবদ- অনধিক ১৫ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা, ১৫ হাজার ১ থেকে ৩০ হাজার ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা, ৩০ হাজার ১ থেকে ৫০ হাজার ভোটার সংবলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা এবং ৫০ হাজার ১ ও তদূর্ধ্ব ভোটার সম্বলিত ওয়ার্ডের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

এই নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা ওয়ার্ডভেদে সর্বনিম্ন ব্যয়সীমা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা থেকে আর সর্বোচ্চ সাড়ে ৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যার ওপর।

আইন অনুযায়ী, ভোটের প্রচারপত্র বা প্রকাশনার মাধ্যমে অথবা অন্য কোনোভাবে ভোটারদের কাছে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভিমত, লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য উপস্থাপনের জন্য ব্যয়িত অর্থসহ তার নির্বাচন পরিচালনার জন্য দান, ঋণ, অগ্রিম জমা বা অন্য কোনোভাবে পরিশোধিত অর্থ নির্বাচনী ব্যয় বলে গণ্য হবে।

আত্মীয়-স্বজনের (স্বামী বা স্ত্রী, মাতা, পিতা, পুত্র, কন্যা, ভ্রাতা বা ভগ্নি) কাছ থেকে ধার, কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার স্বেচ্ছা প্রদত্ত দান গ্রহণ করাকে ব্যয়ের উৎস হিসেবে দেখাতে পারবেন প্রার্থীরা। এ ক্ষেত্রে কোনো উৎস থেকে কোনো অর্থ প্রাপ্ত হলে অর্থপ্রাপ্তির পর তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনি এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারো মাধ্যমে নির্বাচন বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে পুরো ব্যয় পরিচালনা করতে হবে তফসিলি ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্ট থেকে।

নির্বাচনের পর ফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ব্যয়ের রিটার্ন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করতে হবে।

রাজশাহী সিটিতে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান (লিটন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির মো. লতিফ আনোয়ার।

সিলেট সিটিতে মেয়র পদে আটজন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৯৪ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  

মেয়র প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।

ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার পর এই প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে। বুধবার (২১ জুন) দুই সিটিতেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হবে। এ ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হবে সিসি ক্যামেরায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।