ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সংসদ নির্বাচন: স্বতন্ত্রদের প্রতীক থালা, ঢেঁকি, মোড়া

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০২৩
সংসদ নির্বাচন: স্বতন্ত্রদের প্রতীক থালা, ঢেঁকি, মোড়া

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ২৫টি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৪৪টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য থালা, ঢেঁকি, মোড়া, কেতলির মতো প্রতীকগুলো রাখা হয়েছে।

সংসদ নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে সম্প্রতি প্রতীকগুলো সংরক্ষণ করে সংস্থাটি। ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে— স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ২৫টি প্রতীক সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে আগের তালিকা থেকে ১৪টি প্রতীক নেওয়া হয়েছে। আর নতুন করে যোগ হয়েছে ১১টি প্রতীক।

আগের প্রতীকগুলোর মধ্যে কলার ছড়ি, খাট, ঘণ্টা, ট্রাক, তবলা, তরমুজ, দালান, ফুলকপি, বাঁশি, বেঞ্চ, বেলুন, মাথাল, রকেট, স্যুটকেস এখনো আছে। আর নতুন করে যোগ হয়েছে— কেতলি, আলমিরা, থালা, ঢেঁকি, চার্জার লাইট, মোড়া, কাঁচি, ফ্রিজ, সোফা, দোলনা, ঈগল প্রতীক।

প্রতীকের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন

এক-এগার সরকারের সময়কার ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রণীত ২০০৮ সালের বিধিমালায় ১৪১টি প্রতীক সংরক্ষিত করা হয়েছিল। সে সময় নিবন্ধিত ৩৯টি দলের জন্য ৩৯টি প্রতীক এবং স্বতন্ত্রদের জন্য ১০২টি প্রতীক সংরিক্ষত করা হয়েছিল। এরপর কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময় দু’টি দল এবং বর্তমান কমিশনের অধীনে দু’টি দল এবং মাঝে আদালতের আদেশে পাঁচটি দল নিবন্ধন পায়। আর শর্ত পূরণ করতে না পারায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টি, ২০১৭ সালে পিডিপি, ঐক্যবদ্ধ নাগকি আন্দোলন ও জাগপার নিবন্ধন বাতিল হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আদালতের রায়ে (২০১৩ সাল) বাতিল হয় ২০১৮ সালে। সব মিলিয়ে বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি।

এই ৪৪ দলের জন্যও সংশোধনী বিধিমালায় ৪৪টি প্রতীক সংরক্ষণ করেছে। এগুলো হলো— লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এল.ডি.পি) ছাতা, জাতীয় পার্টি-জেপি’র বাইসাইকেল, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল’র (এম.এল) চাকা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ’র গামছা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি’র (সিপিবি) কাস্তে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ’র নৌকা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’র (বিএনপি) ধানের শীষ, গণতন্ত্রী পার্টি’র কবুতর, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি’র (ন্যাপ) কুঁড়ে ঘর, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি’র হাতুড়ি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ’র (বিডিপি) কুলা, জাতীয় পার্টি’র (জাপা) লাঙ্গল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল’র (জাসদ) মশাল।

এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র তারা, জাকের পার্টি’র গোলাপ ফুল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ’র মই, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি’র গরুর গাড়ি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন-বিটিএফ’র ফুলের মালা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন’র বটগাছ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ’র হারিকেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র আম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র খেজুর গাছ, গণফোরাম’র উদীয়মান সূর্য, গণফ্রন্ট-জিএফ’র মাছ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’র গাভী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি’র কাঁঠাল, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ-আইএফবি’র চেয়ার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি’র হাতঘড়ি, ইসলামী ঐক্যজোট-আইওজে’র মিনার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’র রিকশা প্রতীক সংরক্ষিত করেছে ইসি।

অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র হাতপাখা, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট-বিআইএফ’র মোমবাতি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি’র কোদাল, খেলাফত মজলিল’র দেওয়াল ঘড়ি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল’র হাত(পাঞ্জা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট-মুক্তিজোট’র ছড়ি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ’র টেলিভিশন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম’র সিংহ, বাংলাদেশ কংগ্রেস’র ডাব, তৃণমূল বিএনপি’র সোনালী আঁশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব’র আপেল, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ’র মটরগাড়ি (কার), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম’র নোঙ্গর ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি’র একতারা প্রতীক সংরক্ষণ করেছে সংস্থাটি।

২০১৭ সালেও একবার বিধিমালা সংশোধন করে নিবন্ধিত দলের জন্য ৩৯টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য ২৫টি, মোট ৬৪টি প্রতীক সংরক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন। এবার সেই তালিকাতেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২৩
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।