ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বরিশালের ছ’টি আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী সবচেয়ে বেশি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
বরিশালের ছ’টি আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী সবচেয়ে বেশি

বরিশাল: জেলার ছয়টি আসনের চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। ৩৫ বৈধ প্রার্থীকে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রতীক ঘোষণা করেন শহীদুল ইসলাম। ঘোষিত এসব প্রতীকের মধ্যে লাঙ্গলের প্রার্থী সবচেয়ে বেশি। এরপর রয়েছে নৌকা আম ও ঈগল।

জানা গেছে, এ ছয় আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে ভোটের লড়াই করবেন ছয় প্রার্থী। অর্থাৎ, প্রতিটি আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ৪; ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আম প্রতীকে ৪; তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকে ৩; বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকে ৩; বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকে ২; কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকে ১; বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির হাতুড়ি প্রতীকে ১; জাসদের মশাল প্রতীকে ১; ট্রাক প্রতীকে ৩; ঢেঁকি প্রতীকে ১; তরমুজ প্রতীকে ১; রকেট প্রতীকে ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে ঈগল প্রতীকে নির্বাচন করছেন ৪ প্রার্থী।

বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে সরাসরি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ নৌকা, জাতীয় পার্টির সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী লাঙ্গল ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. তুহিন আম প্রতীক পেয়েছেন।

বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে মহাজোটের প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আওয়ামী লীগের নৌকা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নকুল কুমার বিশ্বাস গামছা, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন লাঙ্গল, তৃণমূল বিএনপির আলহাজ্ব মো. শাহজাহান সিরাজ সোনালী আঁশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাহেব আলী আম, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ. কে ফাইয়াজুল হক ঈগল, মো. মনিরুল ইসলাম ঢেঁকি প্রতীক পেয়েছেন।

বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির টিপু সুলতান হাতুড়ি, জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু লাঙ্গল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আজমুল হাসান জিহাদ ছড়ি, তৃণমূল বিএনপির শাহানাজ হোসেন সোনালী আঁশ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল হক ঈগল ও মো. আতিকুর রহমান ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন।

বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনে জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান লাঙ্গল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের হৃদয় ইসলাম চুন্নু সোনালী আঁশ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ ঈগল প্রতীক পেয়েছেন।

বরিশাল-৫ (বরিশাল সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক নৌকা, জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন লাঙ্গল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আব্দুল হান্নান সিকদার আম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. আসাদুজ্জামান ছড়ি, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মাহাতাব হোসেন ডাব, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সালাহউদ্দিন রিপন ট্রাক প্রতীক পেয়েছেন।

বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাফিজ মল্লিক নৌকা, জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্মা লাঙ্গল, তৃণমুল বিএনপির টি.এম. জহিরুল হক সোনালী আঁশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. মোশারফ হোসেন আম, জাসদের মোহাম্মদ মোহসীন মশাল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মাইনুল ইসলাম ডাব, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহবাজ মিঞা ঈগল, মো. কামরুল ইসলাম খান তরমুজ, মো. জাকির খান সাগর রকেট ও মোহাম্মদ শামসুল আলম ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন। উল্লেখ্য, এ আসনে চার স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে তিনজন ঈগল প্রতীক চেয়েছিলেন। পরে লটারির মাধ্যমে শাহবাজ মিঞা এ প্রতীক পান।

এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পেতে বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনে শাম্মী আহমেদের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। বরিশাল-৫ (সদর) আসনে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তার করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর। যদিও হাইকোর্টের আদেশ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।

জানা গেছে, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। আর অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এই প্রতীক না চাওয়ায়, তা পেতে কোনো শঙ্কাও নেই।

বরিশাল জেলার ছয় আসনে ৫৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে যাচাই বাছাই শেষে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে আপিলে গিয়ে আরও ১ জনের প্রার্থিতা বাতিল হয় এবং দুজন ফিরে পান। পরে চূড়ান্ত প্রার্থী হন ৪৬ জন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ১১ প্রার্থী সংশ্লিষ্ট আবেদন করেন। শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকেন ৩৫ জন। সাদিক আব্দুল্লাহ প্রতীক পেলে প্রার্থীর সংখ্যা হবে ৩৬ জনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডি‌সেম্বর ১৮, ২০২৩
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।