ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বরিশালে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪
বরিশালে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম

বরিশাল: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

তাই শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসনিক প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম।

 

নিজ নিজ উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝে নিচ্ছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। সেগুলোকে নিরাপত্তা দিয়ে আনসার ও পুলিশ সদস্যরা কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে সকাল থেকে নগরসহ সংসদীয় এলাকাগুলোতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারের সদস্যরা টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

এদিকে ভোটের দিন গোটা বরিশাল জেলা নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহিদুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে। দুর্গম কেন্দ্র ব্যতীত সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পৌঁছে দেওয়া হবে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় পুরো নির্বাচনী নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। বরিশাল জেলায় ১৭ প্লাটুন বিজিবি, ১০ প্লাটুন সেনাবাহিনীর সদস্য ও সদরে একটি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে।  

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬টি আসনে নির্বাচনের মাঠে মোট ৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস দুটি আসন থেকে এবং বরিশাল-২ আসনে মনিরুল ইসলাম নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও মনিরুল ইসলাম সরে গিয়ে নৌকাকে সমর্থন দিয়েছেন।

অপরদিকে জেলায় মোট ২১ লাখ ৩২ হাজার ৭৪ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৩২৪ জন, নারী ভোটার ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৪৪ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৯ জন। যারা ৮২৭টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

এদিকে ৪৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন পুলিশ, আনসার, র‌্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশের সদস্যরা। যার মধ্যে প্রতি আসনে র‌্যাবের ২টি করে ১২টি টহল টিম, মেট্রোপলিটন এলাকায় বিএমপি পুলিশের ১ হাজার ২৮০ জন সদস্য এবং জেলায় জেলা পুলিশের ২ হাজার ১৭৩ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া ১০ হাজার ৯২ জন আনসার সদস্যের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে ৯ হাজার ৯২৪ জন, সেনাবাহিনীর ৬০৮ জন, বিজিবির ১৭ প্লাটুন, কোস্টগার্ডের ১৫৯ জন নিয়োজিত রয়েছে। যার মধ্যে কোস্টগার্ড নদীবেষ্টিত হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের ১০টি ইউনিয়নে কাজ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৪
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।