ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রতিপক্ষের ভোট কারচুপির কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বতন্ত্র প্রার্থী!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
প্রতিপক্ষের ভোট কারচুপির কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বতন্ত্র প্রার্থী!

রাজশাহী: সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর আরও একটি আসনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগ নেতা ওবায়দুর রহমান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইজে) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে করে তিনি এ অভিযোগ তোলেন। এ সময় নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার কথা বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এ প্রার্থী।

সংবাদ সম্মেলন করে ওবায়দুর রহমান এ আসনের ভোট পুনঃগণনার দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বলেন, ৮৬ হাজার ৯১৩ ভোট পেয়ে প্রকৃতপক্ষে আমিই জয়যুক্ত হয়েছি। আর নৌকার প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ দারা ৮৩ হাজার ৮৬২ ভোট পেয়েছেন। যা বিভিন্ন টেলিভিশনেও দেখানো হয়েছে। কিন্তু পরে ফল পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়।

প্রশাসনের করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওবায়দুর বলেন, প্রিসাইডিং অফিসাররা পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন। তারা রুমের দরজা বন্ধ করে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে নিজেরাই ভোট দিয়েছেন। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করছি পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনে কাস্টিং হওয়া ভোট পুনরায় গণনা করার। তাহলে জনগণের রায় বেরিয়ে আসবে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে নৌকার বিজয়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওবায়দুর রহমান বলেন, নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনের পর আমার কর্মীদের মারধরসহ তাদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে, প্রশাসনে অভিযোগ দিলে তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওবায়দুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার লক্ষ্যে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেটা যদি আমার ভুল হয় তাহলে আমাকে ক্ষমা করবেন। অথবা আমাকে সাজা দিন। দয়া করে আমার ওপর আস্থাশীল জনগণকে রক্ষা করুন।

এর আগের দিন বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানী ও রাজশাহী-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি রাহেনুল হক ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন।  

এছাড়া রাজশাহী-৪ আসনের পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক ফল প্রত্যাখান করে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন।

তবে রাজশাহী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ। এখানকার কোনো আসনের কোনো প্রার্থীর ভোট কারচুপির প্রশ্নই ওঠে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
এসএস/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।