ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তাড়াশ উপজেলা ভোট

সম্পদ বেড়েছে মনির, ঋণ বেড়েছে সঞ্জিতের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
সম্পদ বেড়েছে মনির, ঋণ বেড়েছে সঞ্জিতের মনি ও সঞ্জিত (ডানে)

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ব্যাংক ব্যালেন্স বেড়েছে ৫২ গুণেরও বেশি।  

সেই সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে।

তার পাশাপাশি বেড়েছে স্ত্রীর আয়ও। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সঞ্জিত কর্মকারের সম্পদের পাশাপাশি বেড়েছে ঋণ।  

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।  

২০১৯ সালে জমা দেওয়া হলফনামায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামানের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ১ লাখ টাকা। বর্তমানে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকায়। ওই সময় তার স্ত্রীর নামে কোনো ব্যাংক ব্যালেন্স না থাকলেও বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১৫ লাখ টাকা জমা রয়েছে।  

তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি ২০১৯ সালে বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যা বেড়ে বর্তমানে হয়েছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ১৭৯ টাকা। তার স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রীর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬০ টাকা। সেটা বেড়ে বর্তমানে হয়েচে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

হলফনামায় নগদ টাকার পরিমাণ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্রের মূল্য ১ লাখ উল্লেখ করেছেন। তার নামে কোনো জমি না থাকলেও ৭ বিঘা কৃষিজমি রয়েছে স্ত্রীর নামে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই ১৫ ভরি করে সোনা রয়েছে। যার মূল্য অজানা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ও তার স্ত্রীর নামে কোনো ঋণ নেই।  

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী পৈতৃক সূত্রে এসব সম্পদের মালিক হয়েছি।  

অপর প্রার্থী সঞ্জিত কুমার কর্মকার ২০১৯ সালে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ ও দেনা বেড়েছে। তাড়াশ ডিগ্রি কলেজে ভূগোল বিষয়ের প্রদর্শক ও ব্যবসায়ী সঞ্জিত কুমার কর্মকারের বার্ষিক আয় ২ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৪ টাকা। দোকান ভাড়া থেকে আয় ১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা। তার স্কুলশিক্ষিকা স্ত্রীর বার্ষিক আয় ২ লাখ ৩০ হাজার ১২৪ টাকা ও দোকান ভাড়া থেকে আয় ৩৬ হাজার টাকা। পাঁচ বছর আগে ব্যবসা ও অন্যান্য উৎস থেকে তার আয় ছিল ১০ লাখ টাকা। সঞ্জিত কুমার কর্মকারের নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ১০ লাখ টাকা। ৮ লাখ টাকা দামের একটি ট্রাক, ৪ তোলা সোনা, ১০ হাজার টাকা দামের বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও ১০ হাজার টাকা দামের আসবাবপত্র রয়েছে। পাঁচ বছর আগে তার সোনা ছিল ২০ ভরি। বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র ছিল ২০ হাজার টাকার। তার স্ত্রীর ১০ ভরি সোনা দানসূত্রে পাওয়া। এছাড়া তার বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে।

সঞ্জিত কুমার কর্মকার পৈতৃক সূত্রে ৫ শতক অকৃষি জমি ও ক্রয় সূত্রে ২৯.৫ শতক অকৃষি জমির মালিক। যার মূল্য ৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জায়গায় ২১০০ বর্গফুটের চারতলা একটি ভবন রয়েছে তার। যার মূল্য ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া তার স্ত্রীর ৪ শতক জায়গায় টিনশেড বাড়ি ও আড়াই শতক জায়গায় বাড়ি রয়েছে। সঞ্জিত কুমার কর্মকারের দুটি ব্যাংকে ঋণ রয়েছে যথাক্রমে ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭০৮ টাকা ও ৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৩৪ টাকা।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সঞ্জিত কুমার কর্মকার বলেন, আমি ও স্ত্রী চাকরি করি। এছাড়া ব্যবসা করে যা করেছি, তার ট্যাক্স দিই। সঙ্গে অনেক ঋণও আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।