ঢাকা: নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাদের নিয়েই সংলাপ করতে চয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সংলাপ আয়োজন করার কথা ভাবছে সংস্থাটি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, আগের বার ছয় মাসের মতো সময় লেগেছিল নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। আমরা যেহেতু সরকার ঘোষিত ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের হাতে সময় কম। তাই তিন মাসের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা ভাবছি। তবে এটা তাড়াহুড়ো নয়। আমরা বেশি কাজ করে বিষয়টি সম্পন্ন করব।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ করব। তবে আমরা এটিকে সংলাপ বলছি না। মতবিনিময় করব। এক্ষেত্রে নতুন দলগুলোর নিবন্ধন কার্যক্রম যদি সম্পন্ন না হয়, তবে তারা তো সংলাপে অংশ নিতে পারবে না। আমরা চাই নতুন দল যারা নিবন্ধন পাবে তাদের নিয়েই সংলাপের আয়োজন করতে।
নির্বাচনের রোডম্যাপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন ভোটার তালিকা হালনাগাদ, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়োছি। প্রাক রোডম্যাপের কাজ শুরু করেছি। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে লিখিত রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তবে তারা সময় বাড়ানোর জন্য বলেছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোর আবেদন নেওয়া হবে। সময় বাড়ানোর এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের দল জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-এনসিপি এখনো আবেদন করেনি। তারা সাক্ষাতের কোনো সময় চেয়েছে কি না জানতে চাইলে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, না তারা এখনো কোনো সময় চায়নি।
বর্তমান যে আইন-শৃঙ্খলা পরস্থিতি, অনেক পুলিশ এখনো কাজে যোগ দেয়নি বলা হচ্ছে, এই অবস্থায় সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কি কমিশন—এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আমরা বিভিন্ন জেলা পরিদর্শন করেছি, ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে পুলিশ সুপার, নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তো এক কথায় বলেছে যে, রমজান মাসে আমাদের যে পারফরম্যান্স, এটি আমরা আরও ইমপ্রুভমেন্ট করার চেষ্টা করছি। এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে নির্বাচন করতে কোনো বাধা মনে করি না। বাস্তবেও আমরা রমজান মাসে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা অতীতের তুলনায় একটা তুলনামূলক পর্যালোচনা করি, তাহলে আমি মনে করি ধারাবাহিকভাবে তা ইম্প্রুভ হচ্ছে। ছয়-আট মাস সময় আমরা যদি হাতে পাই, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে আমরা মনে করি। তারপরও আমরা ওদের সঙ্গে বসব, বিভিন্ন এজেন্সির কাছ থেকে আমরা তথ্য নেব।
চিহ্নিত অনেক সন্ত্রাসী আছে যারা জামিনে বাইরে আছে, নির্বাচনের আগে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রশ্নে যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার সবই নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
ইইউডি/এমজেএফ