ঢাকা: বটগাছ প্রতীকে নিজেদের বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের এক অংশের সভাপতি আবু জাফর কাশেমী। আগামী নির্বাচনে তারা প্রতীকটি নিয়ে ভোটেও অংশ নিতে চায়।
রোববার (২৭ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের জাফর কাশেমী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যের শিকার। আমরা বিগত সরকারের নির্বাচন বয়কট করেছি। বয়কট করার কারণে আমরা নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমি চার মাস জেল খেটেছি। আমাদের মহাসচিব ৩২ মাস জেল খেটেছে। আমাদের নেতাকর্মীরা সারাদেশে বৈষম্যের শিকার হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে একটি দল আছে। যারা পতিত সরকারের সময় নির্বাচন করে অনেক ফায়দা লুটেছে। তারা নির্বাচন করে প্রতীকটা নিয়ে নিয়েছে। অথচ, আদালতের রায় আমরা পেয়েছি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। তারা হেরে গেছে। এখন বটগাছ প্রতীক আমাদের প্রাপ্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা এটা নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য দরখাস্ত করেছি। আমরা চাই, আগামী নির্বাচনে যেন আমরা বটগাছ প্রতীকে নির্বাচন করতে পারি। আমাদের খেলাফত আন্দোলনের যে আরেক অংশ রয়েছে, তারা বিগত দিনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতীকটা ব্যবহার করেছে। আমরা আগে নির্বাচন করি নাই। এখন যেহেতু আমরা নির্বাচন করব, সেহেতু প্রতীকটা আমরা চাচ্ছি আমাদের নামে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। আমরা বিদেশেও সফর করেছিলাম। চায়না আমাদের পাঁচটি দলকে দাওয়াত দিয়েছিল। সেখানে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। আমরা চায়, ইসলামী দলগুলো যেন একটি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারি, ঐক্যবদ্ধভাবে। আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে আমরা বারবার বসেছি। নির্বাচনী এলাকায় আমাদের একটি প্রতীক থাকবে। যার যেখানে গ্রহণযোগ্যতা আছে, যেন সে পাস করে আসতে পারে। যে দলেরই হোক না কেন, সেখানে প্রার্থী দিয়ে আমরা তাকে পাস করিয়ে আনার চেষ্টা করব।
আবু জাফর কাশেমী বলেন, আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি দেশ গঠনে। যেহেতু পতিত স্বৈরাচার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এখন সময় এসেছে, দেশটাকে নতুন করে গড়ার। সেজন্য আমাদের যত দ্বন্দ্ব আছে, আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে দেশ গঠনে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ইনশাআল্লাহ, সব ইসলামী দল আমরা একসঙ্গে হবো, এটাই আমাদের প্রচেষ্টা। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। আমাদের মিল হয়ে গেছে। এখন শুধু ঘোষণাটা বাকি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনকে বলেছি, আগে সংস্কার হতে হবে। প্রত্যেক জায়গায় স্বৈরাচারী সরকারের কর্মকর্তারা রয়েছেন। পতিত সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন। সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন এবং নির্বাচন যেন একটি যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে হয়। দ্বিতীয়ত হলো, আগে জাতীয় নির্বাচন হবে নাকি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হবে। যদি আগে জাতীয় নির্বাচন হয়, যে দল ক্ষমতায় আসবে, মেয়র থেকে মেম্বার পর্যন্ত তাদের দলীয় লোক ছাড়া অন্য কারো নির্বাচন করার সুযোগ নেই। সেজন্য আমরা চাচ্ছি, আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হবে, পরে জাতীয় নির্বাচন হবে। তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এবং যোগ্য লোক দেশের সেবা করার সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৫
ইইউডি/আরআইএস
বাংলাদেশ সময়: ৬:২৮ পিএম, এপ্রিল ২৭, ২০২৫ /