ঢাকা: ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এজন্য ইসির তৎকালীন দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে সংস্থাটি।
দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো.রাকিবুল হায়াতের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারী আর্থিক বিধি বিধান লঙ্গনপূর্বক সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণপূর্বক টেন্ডার ব্যতিত বাজার মূল্যের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে দেড় লাখ নিম্নমানের ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় করে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ রয়েছে।
এজন্য ইসি সচিবালয়ের উপপ্রধান মো.সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো.মাহফুজুল হক, ইসির আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব (চ.দা) ফরহাদ হোসেন,সিস্টেম এনালিস্ট ফারজানা আখতার ও ওই সময়ের সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেনের বক্তব্য নেওয়া প্রয়োজন।
চিঠিতে ওই ছয় কর্মকর্তাকে আগামী বুধবার (২ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে ওই মেশিনগুলো কিনেছিল ইসি। যদিও সেই ভোটে সীমিত পরিসরে মেশিনগুলো ব্যবহার হয়। অর্ধেকের বেশি মেশিন নষ্ট হওয়ায় সম্প্রতি প্রকল্পটি বাতিল করেছে ইসি।
ইইউডি/জেএইচ