ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প বিলুপ্ত হলেও বিভিন্ন মামলা থাকায় মেশিনগুলো নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে পারছেন না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য চেয়েছে সংস্থাটি।
ইসির যুগ্মসচিব মো. মঈন উদ্দীন খান বুধবার (১৫ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত চিঠি সকল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকার ইভিএম প্রকল্পে মেয়াদ না বাড়ানোর পর এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশন ভোটযন্ত্রটি আর কোনো নির্বাচনে ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মেশিনগুলো নিষ্পত্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে সংকট। কারণ, অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে মামলা হয়েছে, যেগুলোতে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। সেই মামলাগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেশিনগুলোর ভবিষ্যৎও নির্ধারণ করতে পারছে না ইসি।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ইভিএম বিষয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় এবং বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত ইভিএম-এর গোডাউন/স্পেস ভাড়া সংক্রান্ত করণীয় নির্ধারণের জন্য তিন ধরণের তথ্য পাঠাতে হবে:
ক) নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সংক্রান্ত কোনো মামলা আছে কিনা। মামলা থাকলে নির্বাচনের নাম, নির্বাচনি এলাকা, নির্বাচনের তারিখ, মামলা সংক্রান্ত বিবরণ, সংশ্লিষ্ট ইভিএমের পরিমাণ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য তথ্য;
খ) ইভিএম সংরক্ষণের জন্য গোডাউন/স্পেস ভাড়া সংক্রান্ত মামলা সংক্রান্ত তথ্য;
গ) ইভিএমের জন্য ভাড়াকৃত গোডাউনের বকেয়া থাকলে তার তথ্য।
সেনা সমর্থিত ১/১১ সরকারের সময়কার ড. এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন দেশে প্রথমবারের মতো যন্ত্রে ভোট নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বুয়েটের কাছ থেকে তৈরি করা সেই মেশিন রাজশাহীর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নষ্ট হলেও পরবর্তীতে ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সেই মেশিনের ত্রুটির কারণ নির্ধারণ ও মেরামতে ব্যর্থ হয় ইসি।
যার ফলে পরবর্তীতে উন্নত মানের ইভিএম বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে তৈরি করে নেয় সংস্থাটি। তবে সেই মেশিনের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক মতানৈক্য এবং মেরামতে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের চাপের কারণে সরকার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি বন্ধ রাখে। ফলে ইসি ইভিএম প্রকল্প বাতিল করে এবং সকল নির্বাচনে ভোটযন্ত্রটির ব্যবহার থেকে সরে আসে।
ইইউডি/এমজে