ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ সফর ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

প্রিসাইডিং অফিসারের নিরাপত্তায় দেহরক্ষী, সিদ্ধান্ত ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৪৭, আগস্ট ৪, ২০২৫
প্রিসাইডিং অফিসারের নিরাপত্তায় দেহরক্ষী, সিদ্ধান্ত ইসির

ঢাকা: ভোট কারচুপি ঠেকাতে ও কেন্দ্র প্রধানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রিসাইডিং অফিসারকে দেহরক্ষী দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া ভোট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরও কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় মাঠ কর্মকর্তাদের সে প্রস্তাব পাঠাতে বলল সংস্থাটি।

সোমবার (০৪ আগস্ট) ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব (মোহাম্মদ মনির হোসেন এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠিয়েছেন।  

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯(১খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের জন্য একজন প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসারকে সহায়তা প্রদানের জন্য তদ্বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার নিয়োগ করে থাকেন। নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোটকেন্দ্র প্রধান হিসেবে প্রিসাইডিং অফিসারের ক্ষমতায়ন, কর্মপরিধি (দায়িত্ব ও কর্তব্য) ও নিরাপত্তা বিধান অত্যাবশ্যক। ভোটকেন্দ্রে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রিসাইডিং অফিসারের নিরাপত্তা ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধানে প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ জোরালো করা প্রয়োজন মর্মে নির্বাচন কমিশন সাতটি সুপারিশ প্রদান করেছেন।  

সুপারিশগুলো হলো:

১) প্রিসাইডিং অফিসার ও তার টিম মালামালসহ কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য যথোপযুক্ত যানবাহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

২) মালামাল গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রিসাইডিং অফিসার কর্তৃক ফলাফল নিয়ন্ত্রণ কক্ষে দাখিল করা অবধি ০১ জন আনসার/ পুলিশ সদস্যকে দেহরক্ষী হিসেবে সুনির্দিষ্টভাবে নিয়োজিত করা।

৩) প্রিসাইডিং অফিসারকে সহযোগিতা করার জন্য একজন অফিস সহায়ক নিয়োগ দেওয়া।

৪) যতদূর সম্ভব কেন্দ্রের সব মালামাল ও জনবল একইসঙ্গে কেন্দ্রে যাওয়া এবং অবস্থান বাধ্যতামূলক করা।

৫) প্রিসাইডিং অফিসার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাতে তাদের কেন্দ্রের জনবলের আহারের ব্যবস্থা করেন তা নিশ্চিত করা।

৬) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৮৯ক অনুচ্ছেদ অনুসরণে প্রিসাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়নের বিষয় বিবেচনা নেওয়া।

৭) মোবাইল Apps এর মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসার, স্ট্রাইকিং ফোর্স সর্বোপরি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা।  

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন ওই বিষয়াদির সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারদের দায়িত্বপালনে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অ্যাপস এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আরও কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে মাঠপর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে প্রিসাইডিং অফিসারদের দায়িত্বপালনে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অ্যাপস এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আরও কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মতামত প্রদানের অনুরোধ করা হলো।

ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।