একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার নির্বাচন কমিশন তার সবকিছু করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সজাগ থাকবে। তবে কোনো ঘটনা ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করার দরকার সবকিছু করবে নির্বাচন কমিশন।
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাদের কাজে লাগানো হবে, সেই বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং আরও যাচাই করা হবে। তারপর কাদের কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। সময়মতো বিষয়টি দৃশ্যমান হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন কমিশনার মজিদ আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
এদিকে সকালে আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রংপুর অঞ্চল ও রংপুর অঞ্চলের সব নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা-উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেন সিইসি।
সেখানে সিইসি বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, আরও উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আমরা চাই যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে মানুষ পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ভুলে গেছে। তাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াই নির্বাচন কমিশনের চ্যালেঞ্জ। এজন্য সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। আর এই সচেতনতা তৈরিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। আমরা সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চাই, পরামর্শ চাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন সিস্টেমের প্রতি, নির্বাচন কমিশনের প্রতি এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও প্রশাসন মিলে যে একটা ভালো নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এমইউএম