ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

এআই অপব্যবহার হলে মিডিয়াও আসবে শাস্তির আওতায়, নারীদের বুলিং নয় 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:০৪, আগস্ট ১১, ২০২৫
এআই অপব্যবহার হলে মিডিয়াও আসবে শাস্তির আওতায়, নারীদের বুলিং নয়  নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

ঢাকা: নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি অপব্যবহার করা হলে গণমাধ্যমও আসবে শাস্তির আওতায়। এছাড়া নির্বাচনে নারীদের সাইবার বুলিং করা হলেও মিলবে শাস্তি।

 

সোমবার (১১ আগস্ট) কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান।  

তিনি বলেন, এআই ব্যবহার করে যে কোনো ধরনের মিথ্যাচার বা অপবাদ ছড়ানো ইত্যাদি ব্যাপারে প্রার্থী দল, সংস্থা, মিডিয়া সংস্থা সবার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বিধান রাখা হয়েছে।  

তিনি বলেন, একটি বিষয় যেটা আচরণ বিধিতে যোগ হবে দল এবং প্রার্থীদের জন্য। সেটা হচ্ছে নারীর প্রতি সম্মান নিশ্চিতের লক্ষে যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমি গতকালকেও একটা ফাংশনে এটেন্ড করেছিলাম। সেখানে জনপ্রিয় নেত্রী একটা সমস্যার কথা উত্থাপন করেছিলেন যে সাইবার বুলিংটা বিশেষ করে নারীদের টার্গেট করে অস্বাভাবিক পরিমাণ বেড়ে গেছে। এটা অন্ততপক্ষে দল এবং প্রার্থীদের আচরণবিধির মধ্যে শামিল করা প্রয়োজন। পাশাপাশি আজকে ক্যাবিনেটেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের জন্য সহনীয় অবস্থান তৈরি করা।  

এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা। এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশের সমস্যা নয়। আপনাদের বলি আমি অন্ততপক্ষে ব্যক্তিগতভাবে কমিশনের পক্ষ থেকে পৃথিবীর কমপক্ষে ২০টা ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডির সঙ্গে মিটিং করেছি। বিভিন্ন সময় এবং এখানে সবারই একটাই কনসার্ন। এটা একটা গ্লোবাল কনসার্ন। আমরা তো বলছি যে আমরা চাই না যে আমাদের ব্যান্ডউইথ কমে যায় বা মাধ্যম বন্ধ করে দিই বা কোনো প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিই। তাহলে আমাদের হাতে কী উপায় আছে? বেসিক্যালি আমরা যে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাজ করছি, কীভাবে ভালো তথ্য দিয়ে খারাপ তথ্যকে গুরুত্বহীন করা যায়। কারণ আপনি খারাপ তথ্য থামাতে পারবেন না। পৃথিবীব্যাপী নরমাল একটা ইয়ে হচ্ছে ৫০ শতাংশ থেকে আপনি এন্টিটি ট্রেস করতে পারবেন। এটা হচ্ছে গ্লোবাল একটা এভারেজ। দেশের ভেতর থেকে যাকে আমি ট্রেসই করতে পারবো না, আইনের আওতায় আনতে পারবো না, তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব কীভাবে তাহলে? উপায় হচ্ছে দুটো। একটা হচ্ছে ইন্টারনেট কমপ্লিট শাটডাউন অথবা এগুলোকে ওভারপাওয়ার করে দেওয়া ভালো তথ্য দিয়ে।  

তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের সহায়তা আমাদের ভীষণভাবে প্রয়োজন। আমরাও স্ট্র্যাটেজি ওয়ার্ক আউট করছি। আপনাদের নিয়েও আমরা একটা ওয়ার্কশপ করবো। আমরা আশা করি এটার মাধ্যমে এ প্রবণতাটাকে ঠেকাতে পারব মিথ্যাচারকে সত্য কথা দিয়ে।

ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।