ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২, ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৭ সফর ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের উদ্যোগ ইসির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২১, আগস্ট ১২, ২০২৫
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের উদ্যোগ ইসির

এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শিগগিরই মাঠ কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠাতে পারে সংস্থাটি।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম তদারকি সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইসির উপ-সচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ভোটার ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন।

নির্বাচনে সম্ভাব্য ২ হাজার ৯৫০টি অতিরিক্ত ভোটকেন্দ্রসহ মোট ৪৫ হাজার ৯৮টি ভোটকেন্দ্র হতে পারে। সম্ভাব্য ১৯ হাজার অতিরিক্ত ভোটকক্ষসহ মোট দুই লাখ ৮০ হাজার ৫৬৪টি ভোটকক্ষ হতে পারে। ভোটকেন্দ্রে সম্ভাব্য মোট আট লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তার প্রয়োজন হতে পারে।  

তবে আগের নির্বাচনগুলোতে ১০ শতাংশ বেশি কর্মকর্তাকে প্যানেলভুক্ত করা হয়েছিল এবং ৫ শতাংশ বেশি কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত বিবেচনায় নিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নয় লাখ ৩১ হাজার ১৩১ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

বৈঠকের কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও মনিটরিংয়ের বিষয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আড়াই থেকে তিন মাস আগে থেকে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কোর প্রশিক্ষণ ও টোট (টিওটি) বা প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হয়।  

কোর প্রশিক্ষণে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তাদের দুটি ব্যাচে (দুইদিন ব্যাপী) প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়ে থাকে। একইসঙ্গে  প্রশিক্ষক তৈরির জন্য নির্বাচন কমিশনের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা ও অন্যান্য বিভাগের তিন হাজার ৬০০ জন কর্মকর্তাকে ১৪০-১৫০টি ব্যাচে (দুইদিন ব্যাপী) প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া তফসিলের আগে ও পরে বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জেলা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্য, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এক্সিকিউটিভ অফিসার, সহকারী উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

কার্যবিবরণীতে আরও বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা আগের নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন কি না, তা ছকে উল্লেখ থাকতে হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে তালিকা সংগ্রহ করতে হবে।  

এ ছাড়া ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেলভুক্তির যোগ্যতায় প্রয়োজনবোধে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে দুটি সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত দুটি হলো- ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের জন্য কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি প্রমিত ছক প্রস্তুত করা এবং ১০ শতাংশ বাড়তি ধরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত ও ৫ শতাংশ বাড়তি ধরে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আয়োজন করতে হবে।

ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।