ঢাকা, সোমবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

রুমিন বিএনপির আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদক: হাসনাত আবদুল্লাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:০৮, আগস্ট ২৪, ২০২৫
রুমিন বিএনপির আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদক: হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন হাসনাত আবদুল্লাহ

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের শুনানিতে মারামারির ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ আহত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) বিচার চেয়ে অভিযোগ দিয়েছে দলটি।  

একই সঙ্গে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে দায়ী করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে এনসিপি।

রোববার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে রুমিন ফারহানার পক্ষের সঙ্গে মারামারি হয় অপর পক্ষের। এতে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ আহত হন।

বিকেলে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আবার কোনো মঞ্চস্থ নির্বাচনের দিকে যেতে চায় না। বিএনপির আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক রয়েছেন অনেকেই। যারা আওয়ামী লীগ থেকে বেশি আওয়ামী লীগ।  

তিনি বলেন, বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, আওয়ামী লীগের ফ্ল্যাটভোগী এবং যারা গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঠান্ডা করে দিতে চায়, যারা একটা প্রেসক্রিপটিভ ইলেকশনের দিকে আবার যেতে চায়, আমরা এই বিএনপির আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদকদের বলব- আমরা আপনারা জনগণের পালস বুঝুন। চব্বিশ পরবর্তী জনগণের পালস বুঝুন। নতুবা আবার বাংলাদেশ সংকটের দিকে যাবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করতে চাই, বিএনপির এই ফজলু সাহেব (বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান) উনাকে এখনো পর্যন্ত আমরা সম্মান দেখাচ্ছি, কিন্তু উনি যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন এবং রুমিন ফারহানা যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন, যে ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, আমরা ধরে নিচ্ছি আমরা ধরে নেবো এগুলো হচ্ছে বিএনপির হাই কমান্ডের ইনস্ট্রাকশন। আজ নির্বাচন কমিশনে যে ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিএনপি কী অবস্থান নেয়, সেটির প্রতি আমরা নজর রাখব।

রুমিন ফারহানা এখানে বলছেন, মূলত বিএনপির লোকজন এখানে গুন্ডা-পান্ডা নিয়ে ঢুকছেন, তারা তাকে ধাক্কা দিয়েছেন- এমন অভিযোগ তিনি করেছেন এনপিসির বিরুদ্ধে করেননি- এমন বিষয় উত্থাপন করা হলে হাসনাত বলেন, আমরা যদি রুমিন ফারহানার কথাই ধরে নিই, নিজ দলের মধ্যে এখনো পর্যন্ত কমান্ড নিশ্চিত করা হয় না। মানে বিএনপির নেতাকর্মীরাই তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বিএনপি এত বড় একটা সংগঠন, আমরা চাই সেই সংগঠনের শৃঙ্খলা ফিরে আসুক।

এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বলেন, আজ আমি যখন শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য আসি। আমাকে এখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখানে গুন্ডা-পান্ডা দিয়ে এরকম এক পরিস্থিতি তৈরি করেছে, আমাকে পেছন থেকে বারবার টেনে-হিঁচড়ে আমাকে গেট থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।  
 
তিনি বলেন, আমি শুনানিতে দাঁড়ানোর পর রুমিন ফারহানা তেড়ে গিয়ে আমাকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে আমাকে ফেলে দেন। আমাকে কথা বলতে দেননি। তার যে গুন্ডা-পান্ডা ছিল, তারা আমাকে পায়ের নিচে ফেলে নির্মমভাবে মারধর করে। তারা টার্গেট করে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এখানে মারধর করতে চেয়েছে যেন আমরা আমাদের যুক্তি উপস্থাপন না করি, আমরা যাতে কথা না বলি।

তিনি বলেন, আমি হামলার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। যদি বিচার করতে ব্যর্থ হয়, আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ দাবি করছি।

পরে ইসিতে লিখিত অভিযোগ জমা দেন এনসিপি নেতাকর্মীরা।

ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।