কামরাঙ্গীরচর থানা ছাড়া ঢাকা-২ আসন নয়। এক্ষেত্রে এ থানার অন্তর্গত ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড তিনটি ঢাকা-২ আসনের সঙ্গেই রাখার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অ্যাডভোকেট নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ বলেন, ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডকে ঢাকা-২ আসন থেকে পৃথক করেছে কমিশন। সেখানে ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডকে ঢাকা-১০ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডকে তারা ঢাকা-৭ আসনের সঙ্গে যুক্ত করেছে। ইসি এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ৫৯টি আবেদন পড়েছে। ৫৯টি আবেদনের মধ্যে ৫৭টি আবেদন হচ্ছে বিপক্ষে আর ২টি আবেদন পক্ষে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছি যে ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড কামরাঙ্গীরচরের অধীনে যেটা আছে, এই ৩টি ওয়ার্ড, ঢাকা-২ আসনের মধ্যেই থাকবে। কেন থাকবে, কারণ ঢাকা-২ আসনে একটি মাত্র থানা কামরাঙ্গীরচর। আর বাকি হলো কেরানীগঞ্জ ও সাভার উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন। কামরাঙ্গীরচর থানা নিয়েই ঢাকা-২ আসন। সুতরাং কামরাঙ্গীরচর থানাকে যদি অর্থাৎ এই তিনটি ওয়ার্ডকে যদি ঢাকা-২ আসন থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে ঢাকা-২ আসনে কোনো থানা থাকে না। একটি থানাও অবস্থিত হয় না।
নুরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ বলেন, কামরাঙ্গীরচরের জনগণ কেরানীগঞ্জ চাষাবাদ করেন। তারপর ব্যবসা-বাণিজ্য, অফিস-আদালত সবকিছু কেরানীগঞ্জের সঙ্গে কানেক্টেড। সুতরাং আমরা বলেছি যে আগের ঢাকা-২ আসনে কেরানীগঞ্জের ছয়টি সাতটি ইউনিয়ন, সাভারের কয়েকটি ইউনিয়ন এবং কামরাঙ্গীরচর থানার ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড; এটার সমন্বয়ে ঢাকা-২ আসন। এটাই কামরাঙ্গীরচরের জনগণ ও ঢাকা-২ আসনের সর্বস্তরের জনগণের চাওয়া।
আরও পড়ুন...
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পুরোনো সীমানা চায় এলাকাবাসী
ইইউডি/আরবি