ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার ব্যবস্থা আনতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ চার কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন দাবির কথা জানান নারী নেত্রী ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহীন সুলতানা।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে অনেক দাবি ও প্রত্যাশা রয়েছে। আমরা চাই নারীর সমান প্রতিনিধিত্ব স্থাপন হোক, নারী রাজনীতিবিদ এবং ভোটারদের জন্য সমান সুযোগ তৈরি হোক। কমিশন ইতোমধ্যেই কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ভোটার তালিকায় নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সমান প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে কোড অফ কন্ডাক্ট পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী বা নারীর প্রতি সহিংসতা বা হয়রানি হলে নির্বাচন কমিশন এবং পার্টির মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাহীন সুলতানা আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ স্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাধ্যতামূলক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে কমিশন। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নারীর সংখ্যা কম থাকায় এটি প্রমাণ করে যে সমাজে নারীর নাগরিক মর্যাদা এখনও সমানভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় আগামী নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ ও প্রার্থীদের উৎসাহিত করতে রাজনৈতিক পার্টির সঙ্গে কিভাবে সমন্বয় করা যেতে পারে, সরকারের পক্ষ থেকে নারীদের জন্য তহবিল বরাদ্দ এবং নির্বাচনে নারীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সাইবার সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধের নীতি গ্রহণের প্রয়োজন।
এই নেত্রী বলেন, সরাসরি নির্বাচনে সব সাধারণ আসনে ৩৩ শতাংশ নারীর মনোনয়ন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে উপযুক্তভাবে মার্জিনালাইজড জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য পেশাজীবী নারীদেরও পর্যাপ্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে নারীর সমান রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বের পথ সুগম হবে এবং দীর্ঘমেয়াদে দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নের সুযোগ বাড়বে।
ইসির সঙ্গে বৈঠকে নারী নেত্রী নারীপক্ষের নির্বাহী সদস্য সাদাফ সায, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, নারী সংহতির সভাপ্রধান শ্যামলী শীলও উপস্থিত ছিলেন।
ইইউডি/এএটি