ঢাকা: আগামী এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীরা দেশের ভোটারদের চেয়ে অন্তত দুই সপ্তাহ আগে ভোট দেবেন। তবে সেই ভোট কাকে দিলে তা প্রকাশ করতে পারবেন না মর্মে অঙ্গীকার করতে হবে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূলত দুইটা। পোস্টাল ব্যালটের ব্যাপারে অন্য অন্য চ্যালেঞ্জ গুলো তো আছেই। এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গোপনীয়তার চ্যালেঞ্জ এবং যেটা নিয়ে আমি মনে করি সবাইকে কাজ করতে হবে। সবসময় জায়গা থেকে যাতে করে ইন্ডিভিজুয়াল ভোটাররা যেন এই গোপনীয়তাটা রক্ষা করেন। এবং সময় মতন ভোটটা দেন। কেউ যেন তার ভোটে তাকে ইনফ্লুয়েন্স করতে না পারে। তার ভোটটা তিনি কাকে দিয়েছেন এটা যেন ডাইভার্স না হয় এবং এটা তার ডিক্লারেশনের মধ্যেও থাকবে। তিনিও একটা আন্ডারটেকিং দেবেন। ইন্ডিভিজুয়াল ভোটার। আমাদের এখানে সচেতনতা সৃষ্টির একটা জায়গা আছে।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা একটা হাইব্রিড সলিউশন এখানে ইন্ট্রোডিউস করতে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে যারা আগ্রহী ভোটার আছেন যারা ভোট দিতে চাইবেন, তারা অনলাইনে রেজিস্টার করবেন। তাদের কাছে ব্যালটটা আগেই চলে যাবে। এই ব্যালটটা হবে হচ্ছে শুধুমাত্র প্রতীক সম্মলিত ব্যালট। এই প্রতীক ব্যালটটি তার কাছে চলে যাবে। একটা নির্দেশনা থাকবে তার জন্য, একটা ডিক্লারেশনও থাকবে। নির্দেশনাতে লেখা থাকবে যে তিনি কবে নাগাত এই ভোটটা দিতে পারবেন। অর্থাৎ বাংলাদেশে যখন প্রতীক বরাদ্দ হবে প্রার্থীর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত হবে। এরপরে তিনি তার মোবাইল ফোনে অ্যাপের মাধ্যমে অথবা আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন যে তার সংসদীয় আসলে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা কী। কজন দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের প্রতীক কি?
তিনি বলেন, অ্যাপে বা অনলাইনে সেই তালিকা দেখার পরে তিনি ভোট দেবেন এবং ভোট দেওয়ার পরে তিনি খামটি আবার ফেরত পাঠাবেন। এবারের ভোটের জন্য আমরা প্রবাসীদেরকে কোন ধরনের চার্জ এপ্লাই করছি না। যদিও বা প্রতিটি ভোটের জন্য ৭০০ টাকার মতো ব্যয় হবে। আমরা মনে করি এটি একটি যৌক্তিক ব্যয় প্রবাসীদের জন্য।
আউট অব কান্ট্রি ভোটিং বিষয়ে লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন ও প্রবাসীদের সঙ্গে অনলাইনে এই মতবিনিমিয় সভার আয়োজন করে ইসি ও লন্ডন হাই কমিশন। নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব, এনআইডি মহাপরিচালকসহ অন্য কর্মকরাতারা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইইউডি/জেএইচ