ঢাকা, বুধবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

নির্বাচন ও ইসি

প্রবাসীরা ভোট দেবেন প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর, ব্যালটে থাকবে না প্রার্থীর নাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১১, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫
প্রবাসীরা ভোট দেবেন প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর, ব্যালটে থাকবে না প্রার্থীর নাম কথা বলছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, প্রবাসীদের ভোট দেবেন প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর। আর তাদের ব্যালট পেপারে থাকবে প্রার্থীর।

থাকবে কেবল প্রতীক।  

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এমন তথ্য জানান।  

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আমরা একটা হাইব্রিড সলিউশন এখানে ইন্ট্রোডিউস করতে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে যারা আগ্রহী ভোটার আছেন যারা ভোট দিতে চাইবেন, তারা অনলাইনে রেজিস্টার করবেন। তাদের কাছে ব্যালটটা আগেই চলে যাবে। এই ব্যালটটা হবে হচ্ছে শুধুমাত্র প্রতীক সম্মলিত ব্যালট। এই প্রতীক ব্যালটটি তার কাছে চলে যাবে। একটা নির্দেশনা থাকবে তার জন্য, একটা ডিক্লারেশনও থাকবে। নির্দেশনাতে লেখা থাকবে যে তিনি কবে নাগাত এই ভোটটা দিতে পারবেন। অর্থাৎ বাংলাদেশে যখন প্রতীক বরাদ্দ হবে প্রার্থীর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নিশ্চিত হবে। এরপরে তিনি তার মোবাইলফোনে অ্যাপের মাধ্যমে অথবা আমাদের ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন যে তার সংসদীয় আসলে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা কী। কজন দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের প্রতীক কী?

তিনি বলেন, অ্যাপে বা অনলাইনে সেই তালিকা দেখার পরে তিনি ভোট দেবেন এবং ভোট দেওয়ার পরে তিনি খামটি আবার ফেরত পাঠাবেন। এবারের ভোটের জন্য আমরা প্রবাসীদের কোন ধরনের চার্জ এপ্লাই করছি না। যদিও বা প্রতিটি ভোটের জন্য ৭শ টাকার মতো ব্যয় হবে। আমরা মনে করি এটি একটি যৌক্তিক ব্যয় প্রবাসীদের জন্য।

তিনি বলেন, এখানে দুটো নিবন্ধনের ব্যাপার আছে। একটা হচ্ছে ভোটার নিবন্ধন আরেকটা হচ্ছে প্রবাসীকে ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন। যাদের হাতে এনআইডি আছে আমি যদি খুব সংক্ষেপে বলি তারা সবাই ভোটার। এনি বাঙালি যার পজিশনে বাংলাদেশের এনআইডি আছে তার মানে তিনি ভোটার তালিকায় ইতোমধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ১৩ ডিজিট হোক, ১৭ ডিজিট হোক, যে ডিজিটেরই হোক না কেন আপনি যদি কখনো বায়োমেট্রিক্স দিয়ে থাকেন এবং তালিকাভুক্ত হয়ে থাকেন এবং আপনি যদি বাংলাদেশের এনআইডি একটা পেয়ে থাকেন, সেটা যদি আপনার কাছে এমন যদি ল্যামিনেটেড থাকে, সেটা হোক বা স্মার্ট আইডি কার্ডটা হোক, যেটাই থাকুক না কেন আপনি একজন ভোটার। আপনার এলাকার এবং আপনি যে ঠিকানাটা কার্ডে লেখা আছে আপনার বর্তমান ঠিকানা আপনি ওই ঠিকানার একজন ভোটার তারা ভোট দিতে পারবে। এটা হচ্ছে সো ফার ভোটার রেজিস্ট্রেশন। এরপর হচ্ছে পোস্টাল ব্যালটে ভোটের জন্য নিবন্ধন।  

এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, গ্লোবালি পোস্টাল ব্যালট খুব একটা সহজ কাজ নয়। গ্লোবালি এটা রেজিস্ট্রেশনের হার হচ্ছে মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রবাসে যেসব লোক থাকেন বিভিন্ন দেশে তাদের মধ্যে মাত্র ২ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন। আর যারা রেজিস্ট্রেশন করেন তার তাদের মধ্য থেকে আমাদের মত দেশগুলোতে ভোট সংগ্রহের হার হচ্ছে মাত্র ৩০ শতাংশের নিচে।  

আউট অব কান্ট্রি ভোটিং বিষয়ে লন্ডনের বাংলাদেশ হাই কমিশন ও প্রবাসীদের সঙ্গে অনলাইনে এই মতবিনিমিয় সভার আয়োজন করে ইসি ও লন্ডন হাই কমিশন। নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব, এনআইডি মহাপরিচালকসহ অন্য কর্মকরাতারা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।