ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৮
ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা হলে ব্যবস্থা নেবে ইসি প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ

ঢাকা: রাজশাহীতে জনসভাসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টির হলে তা মোকাবেলা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

বুধবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ হুঁশিয়ারি দেন নির্বাচন কমিশন সচিব।

তফসিলের পর জনগণের অসুবিধা হয় এমন কর্মসূচি দিতে আচরণ বিধিতে মানা আছে, এ ক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব এমন কথা বলেন।

বৃস্পতিবার রাজশাহী অভিমুখে পূর্ব নির্ধারিত রোর্ডমার্চের কর্মসূচি স্থগিত করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। তবে শুক্রবার নবগঠিত এ জোট রাজশাহীতে জনসভা করবে। এরপর খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহেও কর্মসূচি নেবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এ জোট।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তফসিলকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরিস্থিতি মোকাবেলায় নির্দেশনা দেব। ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি অবহিত না হলেও কেউ যদি তফসিল ঘোষণায় বাধা সৃষ্টি করে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা এখনও অবহিত নই (কর্মসূচির বিষয়ে)। যখন জানব তখন আলোচনা করব। তফসিল ঘোষণার পরই আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও ইসির অধীনে থাকবে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণায় আমাদের পূর্ব সিদ্ধান্তে অটল থাকতে বলেছে আওয়ামী লীগ। বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের বিতর্কিত কর্মকর্তাদের যেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া না হয় সে পরামর্শও দিয়েছে দলটি।

তিনি বলেন, ইসি যেন সংবিধান ও আইন মেনে কাজ করতে পারে, সেক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা আচরণ বিধিমালা মেনেই নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন এইচ টি ইমাম।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এই ভোটযন্ত্র ব্যবহারে আওয়ামী লীগ পোলিং এজেন্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, জাতীয় পার্টিও সকালে বৈঠকে বসে তফসিল না পেছানোর জন্য বলেছে। একই সঙ্গে তারা নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব রোধ করার কথাও বলেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।