ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রার্থীর বাড়ির পাশে ভোটকেন্দ্র নয়

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
প্রার্থীর বাড়ির পাশে ভোটকেন্দ্র নয় নির্বাচন কমিশন ভবনের ফাইল ছবি

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী যাতে ভোটকেন্দ্রের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রার্থীর বাড়ির পাশে যেন কোনোভাবেই ভোটকেন্দ্র স্থাপন না করা হয়, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর।

বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর।

ইসির যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে-ভোটগ্রহণের ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত করে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। তার আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা ২৩ নভেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ছকে ভোটকেন্দ্রের তথ্য পাঠাবেন।
 
ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত হলেও এমনকি গেজেট প্রকাশ করা হলেও কোনো ভোটকেন্দ্র কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অধীনে বা নিয়ন্ত্রণে স্থাপিত হলে তা জরুরি ভিত্তিতে কমিশনকে জানাতে হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার সব ভোটকেন্দ্র সরেজমিন যাচাই করে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের কোনো কেন্দ্র কোনো প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে বা বাড়ি সংলগ্ন কিনা অবহিত করতে হবে।
 
প্রবাসী বা নির্বাচনী দায়িত্বপালনরতের ভোটদানের সুবিধার্থে পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করার নির্দেশনাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে।
 
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে- রিটার্নিং কর্মকর্তা আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে একটি পোস্টাল ব্যালট এবং একটি খাম পাঠিয়ে দেবেন। এক্ষেত্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর সময় ভোটারের নাম, নির্বাচনী এলাকার নাম, ভোটার নম্বর ব্যালটের মুড়িপত্রে ‍উল্লেখ করবেন। একই ভোটার যাতে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
 
এদিকে বিভাগী কমিশনার, মেট্রোপলিট্রন পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার অথবা তাদের অধীন্ত কর্মচারীদের বদলিও স্থগিত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের ১৫ দিন পর্যন্ত কাউকে বদলি করতে হলে ইসির অনুমতি নিতে হবে।
 
অন্যদিকে কাউকে ভোটগ্রহণে নিয়োজিত করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তাকে দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে বা বিরত রাখতে পারবে না।
 
নির্দেশনাটি ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগের কমিশনার ও সব জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে। যার অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।