ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটে সতর্কতার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে নির্দেশনা দিতে হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ভোটে সতর্কতার সঙ্গে সেনাবাহিনীকে নির্দেশনা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার, ফাইল ফটো

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে সতর্কতার সঙ্গে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফ করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তিন দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের শেষ দিনের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

এসময় মাহবুব তালুকদার বলেন, বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য।

গণতন্ত্রের মূলভিত্তি হলো নির্বাচন। যারা দেশ পরিচালনা করবেন, নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আজ আপনারা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন। এই দায়িত্বটি অত্যন্ত গৌরবজনক। আপনারা গণতন্ত্রের অগ্রসৈনিক। আশা করি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আপনারা আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করবেন।

তিনি বলেন, বলা হয়ে থাকে নির্বাচন আইনানুগ হতে হবে। এই কথাটি ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। আইন যদি সবার জন্য সমান না হয়, সবার জন্য সমানের নিশ্চয়তা না দেয়। তাহলে সেটি আইন নয়; কালো আইন। আপনারা আইনের প্রতিপালক। কালো আইনের নয়।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে আচরণবিধি দৃঢ়ভাবে কার্যকর করা, আচরণবিধি অমান্যকারীদের শাস্তি দেওয়া, নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের নির্বাচনে দেশব্যাপী সেনা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। আপনাদের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সেজন্য প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আপনাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে আপনারা কর্তব্য পালন করবেন। যাতে ভোটারদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।  

ইসি বলেন, এই নির্বাচনে আমাদের চাওয়া অত্যন্ত সামান্য। একজন ভোটার যেনো নির্বিঘ্নে বাড়ি থেকে বের হয়ে কেন্দ্রে যেতে পারেন। নিজের ইচ্ছেমতো যাকে খুশি ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন। এইটুকুই তো আমাদের চাওয়া। রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই সামান্য চাওয়া অসামান্য কর্মযজ্ঞে রূপান্তরিত হয়েছে। সবকিছু সত্ত্বেও ভোটারদের সামান্য চাওয়াটুকু যেকোনো মূল্যে ফিরিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।

এবারের জাতীয় নির্বাচনে একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবগুলো রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। দেশব্যাপী ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা চাই উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হোক। নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে হবে। আপনারা সততা ও সাহসিকতার সঙ্গে এই নির্বাচনে দায়িত্বপালন করবেন। নির্বাচন কমিশন সর্বদাই আপনাদের পাশে আছে।

তিনি এও বলেন, এবারের নির্বাচন আমাদের আত্মমর্যাদা সমুন্নত রাখার। শুধু দেশবাসী নয়, বিশ্ববাসী এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, স্বাভাবিক, শুদ্ধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে এমনটা আশা করছি। তাছাড়া আমরা কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে কলঙ্কিত হতে চাই না। নির্বাচনে যে কেউ জয়ী বা পরাজিত হতে পারে। দেশবাসী যেনো পরাজিত না হয়।

ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএমন নূরুল হুদা, তিন নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তিন দিনে তিন ব্যাচে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৬৯১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্রিফ করে কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
ইইউডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।