ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘জানমাল’ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই, কর্মকর্তাদের ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৮
‘জানমাল’ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই, কর্মকর্তাদের ইসি

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে চৌকিদার থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী সবাই থাকবে। কাজেই জীবন ও মালামাল নিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দুঃশ্চিন্তা না করতে বললেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

নির্বাচন ভবনে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে শনিবার (০১ ডিসেম্বর) তিনি এ কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা নিরাপত্তার জন্য চিন্তা করবেন না।

একেবারে চৌকিদার থেকে সেনাবাহিনীর কেউ বাদ থাকবে না। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সবাই যুক্ত থাকবেন। আপনাদের দুঃশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই; আপনাদের জীবন, মালামাল নিয়ে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আপনারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখবেন। আপনার অনুমতি ছাড়া তারা যেন কোথাও যেতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রে আসতে পারবে কি-না, কেন্দ্রে গেলে তো ভোট দেবো, এ রকমও প্রশ্ন আসছে। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আছে। দরকার হলে আমরা আরো ব্যবস্থা নেবো যাতে করে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে আসতে পারেন। তারপরও যদি কোনো এক্সিডেন্ট হয়, তাহলে আপনাদেরকে কথা দিচ্ছি আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, সত্যিকার অর্থে নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচনের প্লানিংটা করে নির্বাচন কমিশন ও সচিবালয়। আমাদের মান-সম্মান, ইজ্জত আপনাদের হাতে ন্যস্ত। নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন।  

নির্বাচনের মালামাল গ্রহণের সময় সবকিছু আপনারা বুঝে নেবেন। এটা কিন্তু আইনে বলা নেই। তারপরও মালামাল, ব্যালট সবকিছু দেখে গ্রহণ করবেন। এমনও তো হতে পারে সেখানে ব্যালটের পরিবর্তে সাদা কাগজ চলে আসলো। সেজন্য সবকিছু আপনারা বুঝে নেবেন। এগুলো আপনাদের দায়িত্বে থাকবে। আপনারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা কারও কাছে এগুলো রেখে কোথাও যাবেন না। তারাও ব্যালটের অপব্যবহার করতে পারে, যদিও তারা তা করবেন না। তারপরও আপনি সার্বক্ষণিক এগুলোর সঙ্গে থাকবেন। কারণ এগুলো নেওয়ার সময় আপনি (প্রিজাইডিং অফিসার) স্বাক্ষর করে নেবেন। তাই এর দায় দায়িত্বও আপনার যোগ করেন তিনি।  

প্রকাশ্যে ভোট দেওয়া বেআইনি উল্লেখ করে সংশ্লিষ্টদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড অ্যালাউ না করার জন্য নির্দেশনাও দেন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, আপনারা কাউকে ব্যালট পেপার দিয়ে দিলেন, উনি গোপন কক্ষে না গিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিলেন। আমার ভোট আমি প্রকাশ্যে দিয়েছি অসুবিধা কি? একথা অনেকেই বলতে পারেন। যেহেতু আইনে এটা পারমিট করে না। আপনারাও অ্যালাউ করবেন না। আপনাদের প্রশিক্ষণার্থীকেও (প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার) বলবেন- ডোন্ট অ্যালাউ ইট। কারণ এ ধরনের কর্মকাণ্ড বেআইনি এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।  

তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন পত্রিকা-টেলিভিশনে আমরা দেখতে পাই, একজন ভোটার এসে বলছে আমার ভোটটা দেওয়া হয়ে গেছে। যদি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ঠিকমত তার কাজটা করেন, তাহলে একজনের ভোট আরেকজনের দেওয়ার কথা নয়। যদি আপনি সেটিসফায়েড হন। সে সত্যিকার অর্থে ভোটার, তার ভোটটা অন্যকেউ দিয়ে গেছে। জাস্ট অ্যালাউ হিম উইদাউট এনি কোয়েশ্চেন। আপনারা যদি আইনটাকে ফলো করেন। তাহলে আর নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারবে না।

শিডিউলে ৪৬-৪৫ দিন বা যতদিনই থাকুক না কেনো, নির্বাচন মানে একদিন, মানে সেই নির্বাচনের দিন। এই নির্বাচনের দিন কি হলো, এটা যদি ঠিক না হয়, এটা যদি আইনানুগ না হয়, তাহলে পরে কিন্তু আমরা সবাই প্রশ্নবিদ্ধ হবো। কারণ ওই নির্বাচনের দিনই ভোটার আপনাদের সঙ্গে আমার নির্বাচনি কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত হবে।  

তিনি আরো বলেন, ছবিসহ ভোটার তালিকা আছে। ঠিক মতো যদি আইডিন্টেফিকেশন হয়। যদি আপনারা কাউকে জোড় করে বের করে না দিয়ে এজেন্টদের ঠিকমত রাখেন। তাহলে কোনোক্রমেই একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।