ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘মাহবুব তালুকদারের জাজমেন্ট ফেয়ার জাজমেন্ট’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৮
‘মাহবুব তালুকদারের জাজমেন্ট ফেয়ার জাজমেন্ট’ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ অন্যরা ব্রিফ করছেন ইসিতে। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা ফিরে পেতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার যে জাজমেন্ট দিয়েছেন তা ফেয়ার জাজমেন্ট। অন্য কমিশনাররা তার মনোনয়নপত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।

নির্বাচন ভবনে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) আপিলের শুনানি শেষে খালেদার আবেদন নির্বাচন কমিশন নামঞ্জুর করলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের এমন প্রতিক্রিয়া জানান।
 
মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার অভিযোগ ছিল- খালেদা জিয়া নির্বাচন সংক্রান্ত অপরাধ করেননি।

 শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তিনটা আপিল মঞ্জুর করেছেন। তাই খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আর কোনো আইনগত বাধা নেই।
 
তিনি বলেন, গত তিনদিন আমরা দেখেছি, আপিল শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কখনো সিইসি, কখনো অন্যান্য কমিশনাররা রায় ঘোষণা করেছেন। তারা কমিশনের সবার পক্ষ থেকেই রায় ঘোষণা করেছেন। সবাই ধারণা করেছিল মাহবুব তালুকদারের রায় সবার রায়। এটা সবার রায়। সেই রায়ে খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নপত্রই বৈধ করেছেন।
 
এ আইনজীবী আরও বলেন, একবার রায় ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর, দ্বিতীয়বার রায় ঘোষণার কোনো সুযোগ নাই। গত তিনদিনের আপনারা দেখেছেন, দ্বিতীয়বার রায় ঘোষণা হয়েছে? নির্বাচন কমিশনের এখানে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। মাহবুব তালুকদার সাহেব যে জাজমেন্ট দিয়েছেন, মাহবুব তালুকদারের জাজমেন্ট লিগ্যাল জাজমেন্ট, ফেয়ার জাজমেন্ট।
 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আইনগত এক্সামিন করে দেখবো উচ্চ আদালতে যাওয়া যায় কি-না, এ বিষয়ে কনভিন্স হলে সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা বিশ্বাস করি উচ্চ আদালত তার মনোনয়নপত্র বৈধ করবেন।
  
খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ২ ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। খালেদা জিয়া রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে নির্বাচন কমিশন শুনানি করে চার-এক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তার আবেদন নামঞ্জুর করেন।
 
খালেদা জিয়ার প্রার্থী হতে এখন উচ্চ আদালতে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
 
৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা বাতিলের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।