ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

জমে উঠেছে সিইসির ভাগ্নে শাহজাদা ও রনির লড়াই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
জমে উঠেছে সিইসির ভাগ্নে শাহজাদা ও রনির লড়াই বাম থেকে গণসংযোগে শাহজাদা সাজু ও গোলাম মাওলা রনি। ছবি: বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন। কারণ এ আসনে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভাগ্নে এসএম শাহজাদা সাজু রয়েছেন।

উভয় প্রার্থীরই ব্যস্ত সময় কাটছে গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে। ভোটের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিতে কৌশলী অবস্থানে রয়েছে দুই দলই।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম শাহজাদা সাজু বলছেন, এই আসনে বিরোধীদলীয় কোনো প্রার্থী নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই স্থান থেকেই গোলাম মাওলা রনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচারের জন্য তিনি যখন এলাকায় প্রবেশ করেন তখন উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাইকে কঠিনভাবে নির্দেশ দেয়া আছে, আমরা শান্তিকামী, আমাদের নেত্রী শান্তিকামী। এখানে সব শান্তিপূর্ণ অবস্থায় চলবে। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বাধা দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।  

এসময় গোলাম মাওলা রনিকে উদ্দেশ্য করে শাহজাদা সাজু বলেন, একদিন গভীর রাতে তিনি এলাকায় প্রবেশ করেছেন এবং বাসার ভেতরেই আছেন। তিনি তো বাইরেই বের হননি, তাকে বাধা দেবে কোথায়?

এছাড়া মামা-ভাগ্নে সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মামা সিইসি কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি তার পরিবারের অংশ না। আমি রাজনীতি করি আমার মতো করে। এখানে তার কোনো প্রভাব নেই। তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ’

এদিকে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘ঝাড়ু মিছিল কারা করে? ঝাড়ু কারা দেয়? আমি জানি না সেই ঝাড়ুতে কি ময়লা লাগানো ছিল? যারা ঝাড়ু বহন করে সমাজে এক সময় তাদের ‘মেথর’ বলা হতো। গলাচিপায় তারা (আওয়ামী লীগ) ‘মেথর’ নিয়েই রাজনীতি করেন। ’

বিএনপি প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি আরও বলেন, ‘সিইসি মূলত আওয়ামী লীগের তৃতীয় শ্রেণির নেতা। ২০০১ সালের নির্বাচনে এজেন্ট হিসেবে তিনি আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তাই তার সম্পর্কে আমি নেতিবাচক মন্তব্য করতে চাই না। ’

নির্বাচনের কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনে হাজার রকম কৌশল রয়েছে। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যে পন্থা অবলম্বন করছে আমরা সেই পন্থা অবলম্বন করব না। বিকল্প পন্থায় জনগণের কাছে যাব। যাতে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে আমাদের সংঘর্ষ না হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ মানুষকে দু’টি জিনিস দিয়েছেন। একটি হলো মেধা, অপরটি মননশীলতা। মাথায় বুদ্ধি থাকলে কখনও মারামারি করতে হয় না। বেয়াক্কেল লোকেরা সাধারণত মারামারি করে। আমি বেয়াক্কেল লোক হিসেবে নেতাকর্মীদের উত্তেজিত করে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার সুযোগ দিতে চাই না। ’

তবে নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে রনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠ সবার জন্য সমান থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একটি প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করেনি। সরকারি দল এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে অসহায় হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপরও জনতার ঢল নামবে বলে আমরা আশাবাদী। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।