ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটকক্ষে ছবি তোলা যাবে, লাইভ নয়: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
ভোটকক্ষে ছবি তোলা যাবে, লাইভ নয়: সিইসি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষের ভেতরে ফটো তোলা যাবে। কিন্তু সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। 

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সিইসি বলেন, আচরণ বিধি, কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকরা কি কার্যক্রম চালাবেন বা সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

আচরণ বিধি প্রতিপালন নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে টেলিভিশনগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার হবে।

কেএম নূরুল হুদা বলেন, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভোটকক্ষের ভেতরে কোনো লাইভ প্রচার করা যাবে না। কেন্দ্রে সীমিত আকারে সাংবাদিকেদের যেতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণে কর্মকর্তাদের অসুবিধা না হয়। বাংলাদেশি পর‌্যবেক্ষকদের পাশাপাশি বিদেশিদের জন্যও নীতিমালা আছে। সেগুলো মানতে হবে। কেন্দ্রের ভেতরে বেশিক্ষণ থাকতে পারবেন না। লাইভ সংবাদ প্রচার করতে পারবেন না। তবে, ভোটকক্ষের বাইরে করতে পারবেন।

সিইসি বলেন, ভোটকক্ষের ভেতরে। ঘরের মধ্যে। কেন্দ্র মানে ঘর। শুধু ঘরের মধ্যে। মাঠ নয়। ঘরে মধ্যে থেকে লাইভ করা যাবে না। গোপন কক্ষের ফটো তোলা যাবে না। বিষয়টি পরিস্কার। তবে, মোবাইল ফোনে ফটো তোলা যাবে।

যেখানে ভোট পরিচালনা করা হয়, প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টরা বসেন, সেখানে লাইভ করা যাবে না। বারান্দায় এসে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না হয়, এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটকক্ষে যদি ৩০-৪০ জন যান, একসঙ্গে গেলেতো তারা (প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্ট) কাজ করতে পারবেন না। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনার ওপর রেসপ্যাক্ট থাকতে হবে। তার কথা মানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভোটকক্ষের ভেতরে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। তবে মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেটের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

আচরণ বিধি ভঙ্গের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ১২২টি। তাদের কাছে অভিযোগ করলে ভালো হয়। নির্বাচনের দায় দায়িত্ব বেশিরভাগ রিটার্নিং কর্মরকর্তাদের হাতে। এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তাদের কাছেও অভিযোগ দেওয়া যাবে।

বিরোধী দলগুলোর ওপর পুলিশি হামলা ও হয়রানির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মহাপুলিশ পরিদর্শককে কাল-পরশুর মধ্যেই চিঠি দেবো। যেন নিষ্পপ্রয়োজনে কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মীদের ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলে যেন হয়রানি, গ্রেফতার না করা হয়।
 
নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে বলেও মনে করার কথা জানান সিইসি। তিনি বলেন, প্রার্থীরা প্রচার কাজ চালাতে পারছে। আমি মনে করি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে কেএম নূরুল হুদা বলেন, সেনাবাহিনী সিআরপিসি (ফৌজদারি কার্যবিধি) অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় আটক করতে পারবে। তবে তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
 
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুবু তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
ইইউডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।