ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে কোনো শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে কোনো শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার

ঢাকা: চলমান পৌরসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
 
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ১৪টি জেলার প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে ‘জুম মিটিং’ করার সময় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

মিটিংয়ে তার দেওয়া লিখিত বক্তব্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের দেওয়া হয়।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারসহ ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও যুক্ত ছিলেন।
 
লিখিত বক্তব্যে মাহবুব তালুকদার বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নির্যাস হচ্ছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের পূর্ব শর্তই হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার প্রতিটি আইনকানুন ও আচরণবিধি কঠোরভাবে পালনের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করে আমরা গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত ও সৌন্দর্যমন্ডিত করতে চাই।
 
‘ভোট দুই অক্ষরের ছোট শব্দ হলেও এর ব্যাপ্তি অত্যন্ত বিস্তৃত বিশাল ও ব্যাপক। ভোট জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতীক ও জনগণের রক্ষাকবচ। সম্প্রতি ভোটারদের ভোটবিমুখতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এটি গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত। এর কারণগুলো বিশ্লেষণ করে তা প্রতিকারের প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন। ’
 
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য আমরা শপথ গ্রহণ করেছি। আপনারা আমাদের শপথের অংশীদার। কারণ নির্বাচন আমরা সরাসরি করি না, নির্বাচন করেন আপনারা। নির্বাচন কমিশনের সকল ক্ষমতা ও শক্তি এখন আপনাদের কাছে হস্তান্তরিত। কমিশনের নির্দেশে আপনারা এই ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। ’
 
‘একটি কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই। নির্বাচনী দায়িত্ব যারা পালন করবেন, তাদের কাছ থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণ কখনও আশা করি না। আমরা কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে দায়িত্ব পালন করতে আসিনি। সকল প্রার্থী আমাদের কাছে এক এবং অভিন্ন। সকলের প্রতি আচরণে আপনাদের ভূমিকা হচ্ছে বিচারকের মতো নির্মোহ। ’
 
মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনে সহিংসতা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্রমবর্ধমান ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। নির্বাচনকালে আপনাদের হাতে যে অপরিমেয় ক্ষমতা আছে, তা প্রয়োগ করে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ কেন নিশ্চিত করা যাবে না তা আমার বোধগম্য নয়। পাশাপাশি এ কথাও বলে দিতে চাই, নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে কারও কোনো শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না। এ বিষয়ে আমরা ‘শূন্য সহিষ্ণু নীতি’ বা জিরো টলারেন্সে’ বিশ্বাসী। নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় নিশ্চয়তা, নিরপেক্ষতা, নিরাপত্তা, নিয়ম-নীতি ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে মোট ২৬টি পৌরসভায় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে এবং ৩০টি পৌরসভায় ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আর পঞ্চম ধাপে ৩১টি পৌরসভায় ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

যে পৌরসভাগুলোতে চতুর্থ ধাপে অর্থাৎ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো- শ্রীবরদী, শেরপুর, মেলান্দহ, নেত্রকোণা সদর, ফুলপুর, ত্রিশাল, মুন্সীগঞ্জ সদর, নরসিংদী সদর, রাজবাড়ী, কালিহাতি, গোপালপুর, ডামুড্যা, কালকিনি, নগরকান্দা, বাজিতপুর, করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর। আর পঞ্চম ধাপে অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি যে পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো হলো- দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, জামালপুর, নান্দাইল, ভৈরব, সিংগাইর, শিবচর, মাদারীপুর ও কালীগঞ্জ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
ইইউডি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।