ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুড়িগ্রামে নির্বাচনী মাঠে ২ সতীনের লড়াই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
কুড়িগ্রামে নির্বাচনী মাঠে ২ সতীনের লড়াই ফজলু কসাইয়ের দুই স্ত্রী আঙ্গুর বেগম ও জাহানারা বেগম।

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে তৃতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী যুদ্ধে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে দুই সতীনের লড়াই। আসল চমক সৃষ্টি হয়েছে তিন সতীনের মধ্যে স্বামী ও মেজ সতীন নাজমা বেগম বড় জনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায়।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের আসন্ন ২৮ নভেম্বর ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনে চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্রামের ফজলু কসাইয়ের দুই স্ত্রী আঙ্গুর বেগম ও জাহানারা বেগম অবতীর্ণ হয়েছেন ভোট যুদ্ধে।

স্বামী ফজলু কসাই ও দ্বিতীয় স্ত্রী আঙ্গুর বেগমের পক্ষ নিলেও অপর স্ত্রী জাহানারা বেগম মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় দুই সতীনের ঘরের লড়াই শুরু হয়েছে নির্বাচনী মাঠে। ভোটাররা এখন দুই সতীনের নির্বাচনী ফলাফলের অপেক্ষায়।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, ফজলু কসাই তৃতীয় বিয়ের পর অশান্তি থাকার পাশাপাশি দুই সতীন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামায় সংসারের ঝগড়া-বিবাদ গড়িয়েছে ভোটের মাঠে। স্থানীয়রা অনেক বুঝিয়েও জাহানারা বেগমের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করাতে না পারায় দুই সতীন এখন ফুলবাড়ী উপজেলার নির্বাচনী মাঠে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখন দেখার পালা কার গলায় উঠবে জয়ের মালা।

নির্বাচনী মাঠে আলোচিত দুই সতীনের স্বামী কসাই ফজলু রহমান বাংলানিউজকে জানান, তিন স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর বেগম, দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম ও তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী তার সাথেই রয়েছেন এবং তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগমকে অন্যত্র বাড়ি করে দিয়েছেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের সমর্থনে প্রথম স্ত্রী আঙ্গুর বেগম সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। আমাদের বাঁধা-নিষেধ সত্ত্বেও তৃতীয় স্ত্রী জাহানারা বেগম একাই নির্বাচনী মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালচ্ছেন।

সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী জাহানারা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ২০১৭ সালে আমি স্বামীর সমর্থনে প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আমি দ্বিতীয় হয়েছিলাম। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বড় সতীন আঙ্গুর বেগম স্বামীকে ফুসলিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আমাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাতে আমি ভীত নই। জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে, আমিই শেষ হাসি হাসবো।

সংরক্ষিত নারী সদস্য নির্বাচনে অপর প্রার্থী আঙ্গুর বেগম বাংলানিউজকে জানান, স্বামী ও এক সতীনসহ এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজন আমার সঙ্গে রয়েছেন। সবার দোয়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। কলম প্রতীক নিয়ে মাঠে নেমেছি, জয় আমার হবে ইনশাল্লাহ্।

আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দে আঙ্গুর বেগম পেয়েছেন কলম আর তার সতীন জাহানারা বেগম পেয়েছেন তালগাছ মার্কা। এছাড়াও ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুই সতীনসহ প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন নুরী বেগম, আনজু বেগম ও আনজুমান আরা বেগম।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এফইএস/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।