ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুসিক নির্বাচন

এমপি বাহাউদ্দিনকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২২
এমপি বাহাউদ্দিনকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ

ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় আ.ক.ম বাহাউদ্দিনকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিনি কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য।

  তার বিরুদ্ধে সুকৌশলে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে- আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২ বিধি অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে যে- অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কৌশলে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন। গত ৭ জুন দৈনিক যুগান্তর এবং দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায় কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দিন অত্যন্ত সূক্ষ্ম কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন, যা সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২ বিধির লঙ্ঘন।

এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে তদন্ত করালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়, যা মোটেই কাম্য নয়।

এ প্রসঙ্গে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ২২ বিধিতে বলা হয়েছে- সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন- পূর্ব নির্বাচনী প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার নির্বাচনী এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল নিজের ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে যেতে পারবেন।

নির্বাচন পূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধাভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের ব্যবহার করতে পারবেন না।

যেহেতু আপনি বিধি বহির্ভূতভাবে কৌশলে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন তাই আপনাকে ২৫৪ কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকা ত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

কুসিক নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দু’বারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অর্থাৎ মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে থাকছেন পাঁচজন প্রার্থী।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। এক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ করার শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ১৬ মে। কিন্তু বিগত কমিশন বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসায় আর তফসিল দেয়নি। ফলে অতি অল্প সময়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এ সিটি পরিচালনায় দায়িত্ব দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে। নির্বাচনের পর নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করা পর্যন্ত তিনি করপোরেশন পরিচালনা করবেন।

বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু ২০১৭ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কুসিকের প্রথম নির্বাচনে ২০১২ সালে তিনিও জয়লাভ করেছিলেন। প্রথমবার বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় সাক্কু স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরেরবার বিএনপির টিকিটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়েও জয়লাভ করেন। এবারও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করায় সাক্কু হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

দু’টি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২২
ইইউডি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।