ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুসিক ভোট: ফলাফল নিয়ে বিতর্কের ব্যাখ্যা দিল ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
কুসিক ভোট: ফলাফল নিয়ে বিতর্কের ব্যাখ্যা দিল ইসি

ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের শেষের চারটি কেন্দ্রের ফল প্রকাশ নিয়ে বিতর্কের অবসানে কেন্দ্রভিত্তিক ফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়াও কুমিল্লা সিটির নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন।

রোববার (১৯ জুন) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএমের ফলাফল, প্রার্থীদের এজেন্টদের স্বাক্ষরিত ফলাফলের বার্তাশিটের কপি ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছি। যাদের সন্দেহ আছে, তারা এখন যাচাই করে দেখতে পারবেন।

এছাড়া কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে—বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, নিবন্ধ এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে পরিবেশিত তথ্য ও সংবাদে কতিপয় বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তির উদ্রেক হতে পারে বিধায় কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা ও বিবৃতি দেওয়া আবশ্যক মনে হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পর রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকে বেসরকারি ফলাফল প্রকাশের শেষ পর্যায়ে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হঠাৎ করে উত্তেজনা, স্লোগান-পাল্টা স্লোগান ও হাতাহাতি হলে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে রিটার্নিং অফিসার নির্বিঘ্নে চূড়ান্ত ফল প্রকাশে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। কোনো কোনো (সকল নয়) পত্র-পত্রিকার নিবন্ধ এবং সোস্যাল মিডিয়াতে বক্তারা এই সময়কে এক বা দেড় ঘণ্টার বিলম্ব বলে রহস্য, অঘটন ইত্যাদির ইঙ্গিত করার চেষ্টা করেছে। বিষয়টি মোটেই তা ছিল না। বিরাজিত অবস্থায় চূড়ান্ত ফল প্রকাশে উল্লখিত কারণে কম-বেশি ১৫/২০ মিনিট বিলম্ব হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাত্র ৩৪৩ ভোটে পরাজিত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে জনৈক ব্যক্তি ফলাফল ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে একটি টেলিফোন কলে ফলাফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে মর্মে বক্তব্য দিয়েছেন। এতে জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের শেষ পর্যায়ে ইভিএমে ধারণকৃত ফলাফল পাল্টে দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। উল্লখ্যে যে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১০৫টি কেন্দ্রের ফলাফল কেন্দ্রেই ঘোষণা করা হয়েছে এবং কেন্দ্রভিত্তিক ইভিএম থেকে মুদ্রিত ফলাফল এবং প্রার্থীদের এজেন্ট এবং প্রিজাইডিং অফিসারদের স্বাক্ষরিত ফলাফলের সকল কপি প্রার্থীদের এজেন্টদের সরবরাহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রিজাইডিং অফিসার নিজে রিটার্নিং অফিসারের কাছে এসে একটি কপি সরবরাহ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও রিটার্নিং অফিসার একত্রিকরণ করে ফলাফল ঘোষণা করেন। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীদের ইভিএম থেকে মুদ্রিত সকল কেন্দ্রের ফলাফল এবং প্রার্থীর এজেন্ট এবং প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরিত ফলাফলের কপি (ফরম-ঞ) কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd) আপলোড করা হয়েছে।

এত বলা হয়, নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন ও স্বচ্ছ করতে প্রথমবারের মত প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ব্যবহার করা হয়েছে। নির্বাচনকে অধিকতর নিরপেক্ষ করার উদ্দেশ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় কর্মরত নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব না দিয়ে বাইরে থেকে কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে এনে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের তথ্য ধারণ ও পরিবেশনের জন্য অবাধ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সহিংসতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ভোটারদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো ছিল। ৫৯% ভোটের হারকে কেউ কেউ কম বলে গণমাধ্যমে সমালোচনা করেছেন। বলা আবশ্যক, ইভিএমে কারো পক্ষে দুবার বা অপরের ভোট দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয় বিধায় ব্যালটে ভোটের চেয়ে কম হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
ইইউডি/এজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।