ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘অনিয়ম’ হয়ে গেল ‘দৈব-দুর্বিপাক’, গাইবান্ধায় ৯০ দিন সময় নিল ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
‘অনিয়ম’  হয়ে গেল ‘দৈব-দুর্বিপাক’, গাইবান্ধায় ৯০ দিন সময় নিল ইসি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল -ফাইল ছবি

ঢাকা: ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণ দেখিয়ে গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর সেটিকেই দৈব-দুর্বিপাক দেখিয়ে অতিরিক্ত নব্বই দিন সময় নিলেন তিনি।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান ইসির যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে- গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ৩৩ (গাইবান্ধা-৫) শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় ইসি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১(ক) অনুচ্ছেদের বিধান মতে সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণসহ এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন।

সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদের বিধান মতে জাতীয় সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে সেখানে উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই ৯০ দিনের মেয়াদ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) শেষ হবে। কিন্তু পূর্ব-বর্ণিত সময় অনুযায়ী গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকার ভোট গ্রহণ বন্ধ ঘোষিত হওয়ার কারণে ৯০ দিনের মধ্যে সব আবশ্যক আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী ৮ দিনের (১২ অক্টোবর থেকে পরবর্তী আট দিন) মধ্যে তা পূরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এ অবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফার শর্তাংশের বিধান মতে- কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে নির্ধারিত ৯০ দিনের নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠান করার বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার ও দায়িত্ব সিইসির।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের (৪) দফার শর্তাংশের বিধান মতে সিইসি পূর্ব-বর্ণিত উদ্ভূত অবস্থাটি অনাকাঙ্খিত, অকল্পনীয় ও নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত বিবেচনায় দৈব-দুর্বিপাক গণ্য করে চলতি অক্টোবর মাসের ২০ তারিখের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে তথা আগামী ২০ জানুয়ারি’২০২৩ তারিখের মধ্যে জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা- ৫ শূন্য আসন  নির্বাচনের মাধ্যমে পূরণের লক্ষ্যে পরবর্তী নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করেছেন এবং তদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পরবর্তী সব কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংবিধানের এই ক্ষমতাটি এর আগে সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদা প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করেছিলেন। সে সময় করোনার প্রদুর্ভাবকে দৈব-দুর্বিপাক দেখিয়ে বেশ কিছু স্থানীয় নির্বাচনের মেয়াদ পরবর্তী ৯০ দিন সময় নিয়েছিলেন তিনি।

>>> আরও পড়ুন: ‘ইভিএমে সূক্ষ্ম কারচুপি সম্ভব’

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।