ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

কলকাতায় ‘নায়করাজ রাজ্জাক সম্মাননা’ পেলেন ওমর সানী-মৌসুমী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
কলকাতায় ‘নায়করাজ রাজ্জাক সম্মাননা’ পেলেন ওমর সানী-মৌসুমী

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের ‘বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার অফ কমার্স’এর উদ্যোগে নায়করাজ রাজ্জাক নামাঙ্কিত যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পেলেন অভিনেতা ওমর সানী এবং অভিনেত্রী আরিফা পারভীন জামান মৌসুমী।  

তবে সম্মাননা নিতে কলকাতায় যেতে পারেননি ঢাকাই সিনেমার এ দুই তারকা।

তাই ওমর সানীর হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের ভিসা প্রধান আলমাস হোসেন  এবং মৌসুমীর হয়ে নেন সুরকার বিক্রম ঘোষের স্ত্রী অভিনেত্রী জয়া শীল ঘোষ।

এবারে বেঙ্গল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চেম্বার অফ কমার্স (বিএফটিসিসি) ৮ম বর্ষে পা রাখল।  

বুধবার (২৪মে) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে। মূলত, বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টদের সম্মানিত করা হয় সেখানে।

অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কমিটির স্থায়ী সদস্য তথা পটুয়াখালী - ৪ এর সংসদ সদস্য মো. মহিব্বুর রহমান, কলকাতার মেয়র ইন কাউন্সিল দেবাশীষ কুমার, আলমাস হোসেন, বাংলাদেশ উপদূতাবাসের প্রেস সচিব রঞ্জন সেন, বিএফটিসিসি'র সভাপতি আর এস খেমকাসহ বিশিষ্টরা।



অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিব্বুর রহমান এমপি বলেন, বাংলাদেশ এবং ভারত এই দুই দেশের সাংস্কৃতিক অভিন্ন, সেই অভিন্ন সংস্কৃতির মাধ্যমে আমরা দুই দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিচরণ করছি। আমরাও চাই এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দুই বাংলার মানুষদের নিয়ে আরও হোক। দুই দেশের মানুষে-মানুষে যত এ ধরনের যোগাযোগ এবং সম্পর্ক বাড়বে। আমাদের হৃদ্যতা আরও বাড়বে।

এদিন বিশিষ্ট অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী পেয়েছেন হীরালাল সেন জীবনকৃতি সম্মাননা। এছাড়া দেবকী বোস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান পেয়েছেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী।

লিলি চক্রবর্তী বলেন, সম্মান সবার ভালো লাগে। তবে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড মানে জীবনের শেষ সম্মান। তার মানে আমার দিন শেষ। তা নয়, আমি এখনও অভিনয় করছি। আমার অভিনয়ের মধ্যদিয়ে আপনাদের আরও আনন্দ দিয়ে যেতে চাই।  

হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, আমার পরিচালনা আপনাদের ভালো লাগে এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমিও আরও দিয়ে যেতে যাই আপনাদের।

প্রসঙ্গত, হীরালাল সেনের আদি বাড়ি ছিল বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলায়। তিনিই ছিলেন ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন। চল্লিশটিরও বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। তাকে ভারতের সর্বপ্রথম বিজ্ঞাপন বিষয়ক চলচ্চিত্রের নির্মাতা বলেও গণ্য করা হয়। ভারতের প্রথম রাজনীতি ভিত্তিক ছবি তিনিই বানিয়েছিলেন।

অপরদিকে, দেবকী বোস পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। তিনিই ভারতীয় সিনেমায় শব্দ এবং সংগীতের উদ্ভাবনী ব্যবহারের জন্য সুপরিচিত। তার সময়ে সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তারা পরিচালনায় বহু বাংলা সিনেমা পাশাপাশি হিন্দি মারাঠি এবং তামিল ভাষায় মুক্তি পেয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।