লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় শুরুতেই তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
তবে বর্তমানে বেশ ভালো আছেন ফরিদা পারভীন। চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে সোমবার রাতে বাড়ি ফেরেন। বিষয়টি ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ফরিদা পারভীন। কিন্তু কিডনি বিকল রোগীদের যেকোনো সময় পুনরায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ফরিদা পারভিন দীর্ঘদিন কিডনির অসুখে ভুগছেন। সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস নিতে হয় তার। সেই সঙ্গে রক্তে সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিসসহ একাধিক শারীরিক জটিলতা নিয়ে দীর্ঘদিন ভুগছিলেন। কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অধীনে চিকিৎসা নিয়েছেন এই গুণী শিল্পী।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন। জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পেয়েছেন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।
এদিকে, শিশুদের লালনসংগীত শিক্ষার জন্যে ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন ফরিদা পারভীন।
এনএটি