ঢাকা, বুধবার, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৪ সফর ১৪৪৭

বিনোদন

‘অনুতপ্ত’: সম্পর্কের অনুরণনে এক আবেগঘন নির্মাণ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:০৯, জুলাই ২৯, ২০২৫
‘অনুতপ্ত’: সম্পর্কের অনুরণনে এক আবেগঘন নির্মাণ

মধ্যবিত্ত পরিবারে বাবা ও ছেলের মধ্যকার সম্পর্ক, অনুতাপ ও আত্মোপলব্ধির মমতায় বোনা নাটক ‘অনুতপ্ত’ সবশ্রেণির দর্শকদের আবেগ ছুঁয়েছে। এতে বাবার প্রতি ছেলের ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের বিভিন্ন মুহূর্ত প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে রোববার (২৭ জুলাই) মুক্তি পেয়েছে ‘অনুতপ্ত’। দুই দিনে ২০ লাখ বার দেখা হয়েছে এটি।

এর গল্পে দেখা যায়, রফিক তার ছেলে রিশাদকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের সুবিধার জন্য মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া থেকে শুরু করে যখন-তখন সাধ্যমতো টাকা দেয়। পরিবার জানে রফিক কর্পোরেট অফিসে চাকরি করে। কিন্তু ঘটনাক্রমে রিশাদ জেনে যায়, দিনে সেলসম্যান ও রাতে আড়তে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তার বাবা। এ কারণে নিজে রাইড শেয়ারিং শুরু করে সে। অন্যদিকে মালিহা নামের এক তরুণীকে ভালোবাসে রিশাদ। পরিবারের সম্মতি নিয়ে মেয়েটির বাবার সঙ্গে দেখা করতে যায় সে। কিন্তু মালিহার বাবা হলেন রফিকের আড়তের মহাজন। এরপর অনুতাপ ধীরে ধীরে এক আত্মোপলব্ধির দিকে নিয়ে যায় তাদের।

ইউটিউবে নাটকটির মন্তব্যের ঘরে পাঁচ হাজার দর্শক নিজেদের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন ও অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, ‘অনুতপ্ত’ একদিকে যেমন আবেগময়, তেমনই বাস্তবধর্মী। প্রতিটি চরিত্রের অভিনয়ে আন্তরিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পেয়েছেন দর্শকরা। তারা মনে করেন, নাটকটির প্রতিটি মুহূর্ত অর্থবহ। প্রতিটি দৃশ্যে রয়েছে বাস্তবধর্মী পরিবেশ। সংলাপগুলো বাস্তব, সংযত ও আবেগপূর্ণ।

‘দেনা পাওনা’ ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করে পরিচিতি পাওয়া নির্মাতা কেএম সোহাগ রানা ‘অনুতপ্ত’ রচনা ও পরিচালনা করেছেন। নাটকটিতে পারিবারিক সম্পর্কের টানাপড়েন ও মানসিক দ্বন্দ্বকে বাস্তবভাবে উপস্থাপন করেছেন তিনি। দর্শকদের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে সক্ষম এমন কিছু মুহূর্ত রয়েছে এতে। পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, নীরব অভিমান ও ভালোবাসার অনুপস্থিতি মিলে দর্শককে এক আত্মজিজ্ঞাসার জগতে নিয়ে গেছেন নির্মাতা।

‘অনুতপ্ত’ কেবল একটি নাটক নয়, এটি সম্পর্কের আয়নায় নিজের মুখ দেখার মতো একটি অভিজ্ঞতা। নাটকটির মাধ্যমে নির্মাতা দর্শকদের মনে করিয়ে দিয়েছেন- সমাজের যেকোনো শ্রেণির মানুষের কাছে ভুল স্বীকার করা, অনুতপ্ত হওয়া আর ক্ষমা চাওয়াও এক ধরনের ভালোবাসা।

‘অনুতপ্ত’তে রিশাদ চরিত্রে পার্থ শেখ দারুণ সংযত অভিনয় করেছেন। তার চোখের ভাষা, শরীরী অভিব্যক্তি ও সংলাপ বলার ভঙ্গিমায় একজন সন্তানের তার বাবার প্রতি অন্তর্দহন পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।

রফিক চরিত্রে ইন্তেখাব দিনার একজন যথাযথ বাবার চরিত্রে সহানুভূতির আবহ ছড়িয়ে দিয়েছেন। রিশাদের মায়ের ভূমিকায় দীপা খন্দকারের অভিনয়ে শান্ত অভিমান ও অস্ফুট ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মালাইকা চৌধুরী, শিবা শানু, তানজিম অনিক প্রমুখ।

এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।