‘উত্তরবঙ্গের পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার এক গ্রামের দুই বন্ধু নজর আলী ও হারাধন দত্ত। দুইজনই অসম্ভব কৃপণ যাকে বলে হাড়কিপ্টে আরকি।
নজর আলীর মতো তার মেঝ ছেলেও কৃপণ, এই পরিবারের ভুক্তভোগী তার স্ত্রী (কমলাবানু), বড় ছেলে (ফজর) এবং ছোট ছেলে (নহর)।
অন্যদিকে, বিপত্নীক হারাধনের ঘরে দুই ছেলে-মেয়ে। মেয়ে শিবানী রাণী দত্তও বাবার মতো কৃপণ। তাই এই পরিবারের ভুক্তভোগী ছেলে ভূপেন দত্ত। ’- ইতোমধ্যেই বুঝতে পারছেন এটি তুমুল জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘হাড় কিপ্টে’র কাহিনি সংক্ষেপ। ১০৬ পর্বের নাটকটি দেখেননি এমন দর্শক দেখেননি খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
বৃন্দাবন দাসের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেন সালাউদ্দিন লাভলু। এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহানাজ খুশিসহ আরও অনেকে।
নাটকটিতে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অভিনেতা শামীম জামান। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শরৎ টেলিফিল্ম থেকেই নাটকটি নির্মিত হয়। এবার এই অভিনেতা জানালেন, যে ঘটনার ওপর নির্মিত হয়েছে ‘হার কিপ্টে’ নাটকটি।
তিনি বলেন, প্রথমে ‘হার কিপ্টে’ নামের একটি একক নাটক বানিয়েছিলাম। এর গল্পটা বাস্তব। আমার এলাকার এক দাদা আছে সে অনেক পয়সা থাকা সত্বেও কখনও জামা গায়ে দেয়নি। ছাতাও ফটিয়ে মাথায় দিত না, সেন্ডেল জুতাও পায়ে পরত না। উনাকে দেখেই নাটকটির কথা মাথায় আসে।
যোগ করে শামীম জামান বলেন, এরপর একদিন বৃন্দাবন দাস দাদাকে গল্প উল্লেখ করে বললাম- ‘এরকম একটা কনসেপ্ট আছে দেখেন কিছু করা যায় কিনা?’ লেখার পর দেখি দারুণ গল্প। পরে এটাকে আমরা ধারাবাহিক করেছি ১০৬ পর্বে।
নাটকটির অভিনয় শিল্পীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, এখানে যারা কাজ করেছে প্রত্যেকে প্রতিযোগিতা নিয়ে অভিনয় করেছেন।
এনএটি