গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অন্তর্জাল এবং রাজপথ সবখানে সোচ্চার ছিলেন ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান। তার ‘ভয় বাংলায়’ শিরোনামের গানটি উৎসাহ জুগিয়েছে মানুষকে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ‘আমি জুলাই-এর গল্প বলবো বন্ধু’ শিরোনামের একটি গান প্রকাশ করেন সায়ান। গানে চব্বিশের অগ্নিঝরা জুলাই-আগস্টের গা শিউরে ওঠা বিভিন্ন ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নতুন প্রত্যয়ে দেশ গড়ার অঙ্গীকারের কথা উঠে আসে।
এবার গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তিতে ‘রানি মা’ শিরোনামের গান নিয়ে হাজির হলেন এই সংগীতশিল্পী। গানটি শুধু গিটারে গেয়েই নিজের ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত করেছেন সায়ান। ‘বেশি বেশি কথা বলো না, সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবে/বলেছিলেন এক রানি মা, তোমরা মুখে-ঠোঁটে তালা মেরে রাখবে/’-গানটির কথা ও সুর তার নিজেরই।
গানটি প্রকাশ করে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সায়ান লেখেন, বাংলাদেশের মানুষ এক দুষ্ট রানীকে পরাস্ত করেছে। আজ সেই গণমানুষের গণঅভ্যুথান দিবস। আগামীতেও সকল দুষ্ট শাসক চিরকাল মাটির মানুষের কাছে পরাজিত হবে। এই বিশ্বাস নিয়ে বাঁচব!
তিনি আরও লেখেন, স্মরণে রাখি প্রত্যেক শহীদকে, তাদের ব্যাথাহত পরিবারকে। স্মরণে রাখি প্রত্যেক আহত যোদ্ধাকে। স্মরণে রাখি দেড় যুগের অত্যাচারের শিকার সকল নিপীড়িত প্রাণকে। সবটুকু স্মরণে রেখেই, সব শেষে স্মরণ করি মানুষের বিজয়কে, যা অনেক দামে এসেছিল এই মাটিতে আরেকবার এবং আসবে, বারবার।
গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি ঘটা করে পালন করা হয়েছে। এর পেছনে সাধারণ মানুষের অবদানের কথা স্বীকার করে সায়ান লেখেন, আজকের সকল উদযাপন যতটা না কোন এক দুষ্ট শাসকের পতনের, তার চেয়ে ঢের বেশি দেশের সাধারণ মানুষের, যারা কোন মাস্টারমাইন্ড বা মেটিকুলাস ডিজাইনের ধার ধারে না, সময় মতন নিজের অস্তিত্ব নিয়ে হাজির হয়! মাটির মানুষের শক্তিতে ভরসা রাখলাম সব চেয়ে বেশি।
বলে রাখা যায়, দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে সংগীতাঙ্গনে বিচরণ সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ানের। গানের সুরে তিনি দেশ, রাজনীতি ও জীবনের চেনা-অচেনা গল্প তুলে ধরেন। বরাবরই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হন। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আর জি করের কাণ্ড নিয়েও গান গেয়ে জানিয়েছিলেন প্রতিবাদ।
এনএটি