দেশের কিংবদন্তি লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া দশটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পরিবারের পক্ষ থেকে শিল্পীর বড় ছেলে ইমাম নিমেরি উপল বলেন, মায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তার (ফরিদা পারভীন) বাবা-মায়ের কবরে দাফন করা হবে।
তিনি আরও জানানো হয়েছে, মৃত্যু পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে পারিবারিকভাবে কথা বলছেন তারা। জানাজা দাফনসহ যাবতীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বলে রাখা যায়, ১৯৫৪ সালে ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া থানায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন গানে গানে কাটিয়েছেন ৫৫ বছর। ১৪ বছর বয়সে ১৯৬৮ সালে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়।
ক্যারিয়ারের শুরুতে দেশাত্মবোধক গান গাইলেও ফরিদা পারভীনের পরিচয় গড়ে ওঠে লালনকন্যা হিসেবে। তার কণ্ঠে ‘মিলন হবে কত দিনে, ‘অচিন পাখি’ গানগুলো আজও বাঙালির চেতনার অংশ হয়ে আছে।
সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে একুশে পদক পেয়েছেন ফরিদা। জাপান সরকার তাকে কুফুওয়া এশিয়ান কালচারাল পদক দিয়েছে। ফরিদা পারভীন কেবল নিজের গান করেননি; বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে লালনের গান শিখিয়েছেন। তার উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় অচিন পাখি স্কুল, যেখানে শিশুদের শেখানো হয় গান।
আরও পড়ুন: সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই
এনএটি/জেএইচ