দেশের শোবিজের নন্দিত মডেল-অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। তার রূপ এবং গুণের প্রশংসা শুধু তার ভক্ত-অনুরাগীরাই করেন না, শোবিজ দুনিয়ার সতীর্থরাও তার প্রশংসায় রীতিমতো পঞ্চমুখ।
কিন্তু সামাজিকমাধ্যমে ছেলের সঙ্গে পোস্ট করা ছবি ঘিরে কটূ মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। জনপ্রিয় পডকাস্ট বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকের সপ্তম পর্বে সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান মৌ।
অপ্রত্যাশিত কটূ মন্তব্যের রাগ-ক্ষোভ উগড়ে তিনি বলেন, ছেলে বড় হয়েছে তাই সামাজিকমাধ্যমে এমন ছবি পোস্ট না করাই ভালো। মানুষ এত কটূ মন্তব্য করবে, সেটা একদমই আশা করিনি। ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও এমন প্রতিক্রিয়া হবে বুঝতে পারিনি। ঘটনার পর আমরা দুজনেই ভীষণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
মৌ আরও বলেন, আমি যখন এসব মন্তব্য পড়েছি, আমার ভেতরটা রাগে জ্বলে উঠেছে। কিন্তু কষ্টের বিষয় হল, আমার ছেলে বিপর্যস্ত হয়ে বলেছিল ওদের কি মা নাই? আমি কী উত্তর দেব তাকে? এক মুহূর্তের জন্যে তারা ভাবেনি এমন মন্তব্য মা-ছেলেকে কতটা আঘাত করতে পারে।
বলে রাখা যায়, ব্যক্তিজীবনে নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসানের স্ত্রী মৌ। তাদের সংসার আলো করে রেখেছেন মেয়ে পুষ্পিতা ও ছেলে পূর্ণ।
এক নজরে মৌয়ের ক্যারিয়ার সম্পর্কে: ১৯৮৯ সালে প্রথম মডেলিংয়ে পা রাখেন মৌ। একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনের জন্য সে সময় তার সঙ্গে রেকর্ড ১ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের চুক্তি করা হয়েছিল। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই বাংলাদেশের সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া নারী মডেল।
৩৬ বছর ধরে দেশের শীর্ষ মডেল হিসেবে রাজত্ব করছেন মৌ। একটিও বিশ্ব রেকর্ডই বটে। মডেল পরিচয়ের পাশাপাশি সাদিয়া ইসলাম মৌ একজন গুণী নৃত্যশিল্পী।
১৯৯৫ সালের ৩ জুলাই প্রচারিত হয়েছিল সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের প্রথম নাটক ‘অভিমানে অনুভবে’। যদিও অনেকটা জোর করেই তাকে অভিনয়ে রাজি করানো হয়েছিল। এমনকি শুটিং শুরু হবার দিন সকাল বেলাতেও পরিচালক-নাট্যকার ফারিয়া হোসেনকে মৌ অনুরোধ করেছিলেন, তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নেওয়ার জন্য।
ঢাকাই সিনেমাতেও তারকা-নির্মাতাদের প্রায় সবাই মৌকে চেয়েছিলেন সিনেমার জন্য। বলিউডের ‘সাজান’ সিনেমার রিমেক ‘স্বজন’ সিনেমাতেও তিনি প্রস্তাব পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে দুই বছর আগে গণমাধ্যমকে মৌ বলেছিলেন, আমি যে ধরনের সিনেমা করতে চাই, সে ধরনের সিনেমা তখন অতোটা হতো না। তবে এখন হচ্ছে। গল্পপ্রধান, অভিনয় করার মতো চরিত্র পেলে অবশ্যই এখন সিনেমায় কাজ করবো।
এনএটি