ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

বিনোদন

মায়ের বিয়ে-বৌভাতের শাড়িতে জয়া, ফিরে গেলেন স্মৃতিতে 

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৬, অক্টোবর ২২, ২০২৫
মায়ের বিয়ে-বৌভাতের শাড়িতে জয়া, ফিরে গেলেন স্মৃতিতে 

দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। এবার এই অভিনেত্রী মায়ের বিয়ে ও বৌভাতের শাড়িতে সেজে সামনে এলেন।

যেখানে রাজেন্দ্রানী লুকে ধরা দিয়েছেন তিনি। শাড়ি দুটিতে সোনার জরীর সুতার বুনন আছে বলেও জানালেন তিনি।

ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি বলেন, ছবিগুলোতে যে দুটো শাড়ি দেখা যাচ্ছে, সেগুলোর বয়স ৪৫ বছর। আসলে এগুলো আমার মায়ের বিয়ের শাড়ি। একটা বিয়ের, একটা বৌভাতের। বাবা কিনে নিয়ে গেছিলেন কলকাতা থেকেই। সোনার সুতোয় কাজ করা এক চিরন্তন রূপকথা, এখনও ঠিক যেন নতুন নতুন বিবাহের গন্ধে ভরপুর।  

শাড়িগুলো নিয়ে ছোট বেলার স্মৃতি ফিরিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, এই দুটো শাড়ি নিয়ে সেই কিশোরী বেলা থেকে আমরা দুই বোন কি কাড়াকাড়ি না করেছি! বিবাদ হোক বা খুনসুটি যাই বলি না কেন, সেটা হতো কে কোনটা নেবে তাই নিয়ে! আমি বলতাম নীলটা আমার, বোনের পছন্দ ছিল টুকটুকে লালটা! কখনও কখনও কিশোরী খেয়ালে পছন্দ যে ওলোট পালট হতো না তা নয়, পরে বুঝেছি এই দুটো শাড়িই আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদের মতো, আর তাতেই এত টান।

তবে তার মায়ের শাড়ি নিজের কাছেই রেখেছেন জয়া আহসান। বিষয়টি জয়া জানালেন এভাবে, মৌসুমী ভৌমিকের গানের সেই যে মরমী লাইনটা, “কিছু ফেলতে পারি না” আমার হয়েছে সেই অবস্থা। সব কিছুর উপরেই স্নেহ, একটা অদ্ভুত মায়া। আমার মায়ের যত পুরাতন শাড়ি, মায়ের বিয়ের শাড়ি, আমার জন্মের আগে মায়ের স্বাদ ভক্ষণের শাড়ি সব রয়ে গেছে আমার কাছে। আলমারির যত্নে, ন্যাপথলিনের রূপকথায় আত্মকথার ইতিহাস। আর আমার মাতৃতান্ত্রিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মাত্র।  

মায়ের ছবিতে ছবি তুলে ভক্তদের উদ্দেশ্যে জয়া লেখেন, হঠাৎ করেই সুযোগ হলো এই দুটো শাড়ি পড়ার … সুন্দর করে স্টাইলিং করে ছবিগুলো তুললাম…আশা করি সবার পছন্দ হবে এই ফটোশুট।

ছবিগুলোতে দেখা গেছে, উজ্জ্বল কমলা আর রয়েল ব্লু রঙের মায়ের দুটি শাড়িকেই একসঙ্গে ড্রেপ করে পরেছেন জয়া। সঙ্গে আছে কনুই পর্যন্ত লম্বা সোনালি ব্লাউজ। সোনার জরীর চওড়া পাড়ের মিনাকারি করা সেই সঙ্গে আছে বৃত্তাকার জমকালো বুটি।

জয়ার গলায় ফিউশন স্টাইল জালিদার হাঁসুলি প্যাটার্নের নেকপিস আর বড় কয়েক লহরের সোনার সীতাহার। সঙ্গে ঝোলানো দুল, বালা, খোঁপার গয়না আর বড় স্টেটমেন্ট আংটি। সেমি স্মোকি চোখের সাজে আছে ঘন কাজল-মাসকারা। সঙ্গে নজর কাড়ছে ন্যুড লিপস, টিপ আর দুপাশে স্ট্র্যান্ডস দেওয়া ট্র্যাডিশনাল আপডু।  

জয়ার এই পোস্টের পর ভক্তদের প্রতিক্রিয়া উচ্ছ্বসিত। অনেকে লিখেছেন, ‘এ যেন মায়ের ভালোবাসায় মোড়া সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি, কেউ বলেছেন, ‘এটাই প্রকৃত ঐতিহ্যবাহী গ্ল্যামার। ’ একজন লিখেছেন, ‘মায়ের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ধন্যবাদ। ’

এদিকে চলতি বছরটা দারুণ কাটছে জয়া আহসানের। এরই মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মিলিয়ে তার ‘তাণ্ডব’, ‘উৎসব’, ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে। গেল ১৯ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘ফেরেশতে’। ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে ‘জয়া আর শারমিন’ ও ‘নকশীকাঁথার জমিন’।

এদিকে সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন জয়া আহসান।

এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।