ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

হৃতিককে পাঠানো কঙ্গনার ই-মেইল ফাঁস!

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
হৃতিককে পাঠানো কঙ্গনার ই-মেইল ফাঁস! কঙ্গনা রনৌত ও হৃতিক রোশন

দিন যতো গড়াচ্ছে, বলিউডের দুই তারকা হৃতিক রোশন ও কঙ্গনা রনৌতের মধ্যে আইনি লড়াইকে ঘিরে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর সত্য। কথিত প্রেম ও ছাড়াছাড়ি রূপ নিয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে পাঠানো মানহানির আইনি নোটিশে।

এবার এই ঘটনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ হৃতিককে পাঠানো কঙ্গনার ই-মেইলগুলো ফাঁস হয়েছে।

এসব ই-মেইলে জানা গেছে, হৃতিককে এগুলোর উত্তর পাঠানোর জন্য বারবার কড়া নেড়েছেন। এ ছাড়া নিজের মধ্যে অ্যাসপার্জার্স সিনড্রোম ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন কঙ্গনা। একথা আইনি নোটিশে আগেই জানিয়েছিলেন হৃতিক। এসব ই-মেইল দেখে সবার চোখ ছানাবড়া! 

জানা গেছে, প্রতি ছয় মিনিটে হৃতিক রোশনের ভুয়া ই-মেইল আইডিতে একটি করে ই-মেইল পাঠাতেন কঙ্গনা। যার সংখ্যা গিয়ে ঠেঁকেছে তিন হাজারের কাছে। একটি ই-মেইলে কঙ্গনা তার অনাবৃত ছবি পাঠিয়েছেন।  

এ ঘটনায় সাইবারক্রাইম বিভাগ জানিয়েছে, হৃতিকের পক্ষ থেকে ই-মেইল বা অন্য কোনো সূত্রে কথোপকথনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা এ-ও দাবি করেছেন, ই-মেইলগুলোতে যুক্ত করা কিছু স্থিরচিত্র কঙ্গনার আইফোন ফাইভএস মডেলের একটি মোবাইল থেকেই পাঠানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে হ্যাকিংয়ের প্রমাণও নেই।

অন্যদিকে কঙ্গনার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকির দাবি, অপ্রাসঙ্গিক ই-মেইল ফাঁস করে হৃতিক তার মক্কেলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অনির্ভরযোগ্য ই-মেইল প্রচারের মাধ্যমে আমার মক্কেলকে তার আইনি অধিকার ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করানোর চেষ্টা থেকে এটাই প্রমাণ হয়, হৃতিক মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি যদি নিজের ভাবমূর্তি পরিস্কার করতে চান তাহলে জনসম্মুখে সব প্রশ্নের উত্তর দিন। এ ধরনের কাজ (ই-মেইল ফাঁস) কিংবা চাপ প্রয়োগ করে আমার মক্কেলকে বিচ্যুত করা যাবে না। ’

হৃতিককে পাঠানো কঙ্গনার কয়েকটি ই-মেইল
* মাঝে মধ্যে সবকিছুই বড্ড অনিশ্চিত মনে হয়। আমাদের প্রেম কি সত্যি নাকি কল্পনা? আমাদের ভালোবাসা সত্যি নাকি কোনো কল্পিত মানুষের সঙ্গে কথা বলছি? তুমি আমার সঙ্গে কথা বলো না কেনো? আমাদের প্রেম যদি সত্যি হয় তাহলে সেটা অধরা কেনো? বাস্তব তো ছোঁয়া যায়, তাই না? যদি একদিন দেখা হওয়ার পর তুমি বলো, আমার কাছ থেকে কোনো ই-মেইল পাওনি, আমাকে চেনো না, কখনও ভালোবাসোনি; কী করবো তখন? নিজেকে কি সামলাতে পারবো? সবকিছু নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ পাবো? নাকি আমার জীবনটা ভাঙা স্বপ্ন হয়েই থাকবে? (অাগস্ট ১৭, ২০১৪)

* তোমার গানটা সত্যিই সুন্দর, আবার দেখলাম। আশা করি আমি যা লিখেছি তা নিয়ে মন খারাপ হয়নি তোমার। যদি খারাপ লেগে থাকে তাহলে আমি দুঃখিত। আমাদের কথা হয় না বলে খুব খারাপ লাগে। আমার অ্যাসপার্জার্স সিনড্রোম ধরা পড়েছে। এ নিয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে আছি। সময় পেলে অসুখটা সম্পর্কে পড়ে দেখো। এ অসুখের ৯৮টি উপসর্গই আমার আছে। জানি আমার অনেক কিছুই স্বাভাবিক নয়। তবে অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার মুহূর্তগুলোতে আত্মবিশ্বাস হারাই না। এটা আমার নিজের ও আমার চারপাশের মানুষদের কাছেও অস্বাভাবিক মনে হয় (অাগস্ট ২২, ২০১৪)

* হাই, কী সিদ্ধান্ত নিলে? আমাকে কিছু বলবে নাকি তোমার ডিভোর্স না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো? তুমি যদি ডিভোর্সের পর আমার সঙ্গে কথা না বলো তা নিয়ে দ্বিধায় আছি। তখন আমি কী করবো? এই অসুখে অনেকের মধ্যে কল্পিত সম্পর্ক তৈরি হয়। তোমাকে তো বলেছি, আমার মনে হচ্ছে যেন অনেকদিন ধরে তোমার সঙ্গে আছি (অাগস্ট ২৩, ২০১৪)

* বেবি, আমরা একান্তে সময় কাটানো শুরুর পর থেকে তোমার শুন্যতা অনুভব করি। ইন্টারনেটে তোমার ছবি ও খবর দেখে মন তুষ্ট হয় না, এসব আমাকে বিভ্রান্ত করে। এটা আমাদের সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে (আগস্ট ২৮, ২০১৪)।

* এসব ই-মেইল পাঠানো খুব যন্ত্রণাদায়ক। তোমার কাছ থেকে কখনও কোনো উত্তর এলো না (সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৪)।  

* সকালে ঘুম ভাঙার পর আমার প্রথম কাজ তোমাকে গুগলে খোঁজা। একটা নতুন ছবি, নতুন সাক্ষাৎকার, নতুন খবর খুঁজে দিন শুরু করতে চাই। এই রুটিন আর বেশিদিন নেই আশা করি। গুগলে খোঁজার বদলে তোমাকে ফোন করে গলাটা শুনে দিন শুরু হবে তখন (অক্টোবর ৪, ২০১৪)

* সত্যি বলতে ভালো লাগছে যে, তুমি ফোন ধরোনি! কী বলতাম? আমার গলা কেমন শোনাত? ঠিকঠাক ‘হাই’ বলার কায়দাটা কেমন? মনের ভেতর অনেক প্রশ্ন জমে আছে। মনে হচ্ছিলো পাগল হয়ে যাবো! আই লাভ ইউ জান (অক্টোবর ৯, ২০১৪)।

* বেবি তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছে বিশ্বাসই করতে পারছি না! তুমি এতো সেক্সি! এখন আমি বিছানায়। কিন্তু একটু আগে এসআরকে’র (শাহরুখ খান) বাড়ির সামনে ৩০ মিনিট আটকেছিলাম! বড্ড ভিড় ওখানে। কী বলেছি একটুও মনে নেই। কিশোরীদের মতো নার্ভাস ছিলাম। তুমি আমাকে এমন অনুভূতি দিয়েছো যে, পেটের মধ্যে কেমন যেন সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে! এই অনুভূতি ভালোই লাগছে। ভাবছি তুমি যখন আমাকে জড়িয়ে ধরে ঠোঁটে চুমু দেবে, তখন হয়তো অজ্ঞানই হয়ে যাবো! (নভেম্বর ২, ২০১৪)

* ভাবছি কবে তোমার নতুন বাড়িতে উঠবে বেবি? তোমার রান্নাঘর তৈরি হলে আমি সেটা সাজাতে চাই। আমি চাই না, ওই কাজটা অন্য কেউ করুক। তোমার ওখানে কর্মচারি লাগবে। আমরা সাক্ষাৎকার নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে লোক নির্বাচন করবো। তোমার প্রয়োজনীয়তার ওপর ভিত্তি করে কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ দিতে চাই (নভেম্বর ১৩, ২০১৪)।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৬
বিএসকে/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।