রবীন্দ্রসংগীতের যারা অনুরাগী, তারা অনেকেই সমান অনুরাগে মনে রাখেন দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। তিনি যে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র, এর চেয়ে বেশি মনে থাকে এই তথ্য, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে বলতেন তার ‘গানের ভান্ডারী’।
দিনেন্দ্রনাথ নিজেও ছিলেন কবিতা ও গানের রচয়িতা, শুধু স্বরলিপিকারই ছিলেন না তিনি, ছিলেন সুরকারও। ‘বীণ’ নামে একটি কবিতার গ্রন্থ ছিলো তার, কখনও মনের আনন্দে চিঠিও লিখতেন ছন্দে, আর সুরসহ নিজের গানও তৈরি করেছেন বেশকিছু। তাই জাহাজযাত্রী রবীন্দ্রনাথ একবার তার সদ্যরচিত একটি গান পাঠিয়ে দিনেন্দ্রনাথকে লিখে পাঠিয়েছিলেন: ‘তুই তোর সুরে গাইতে চেষ্টা করিস তা আমার সঙ্গে মেলে কি না দেখব…। ’
দিনেন্দ্রনাথের লেখা সেসব গানে বা কবিতায়, সুরে বা কথায় রবীন্দ্রনাথের ছায়া আছে অবশ্যই, কিন্তু তা সত্ত্বেও আছে কিছু স্বকীয়তার চিহ্ন। বিস্মৃত হয়ে থাকা সেইসব গানের মধ্য থেকে ৯টি নির্বাচন করে গাইলেন দুই বাংলার দুই সাহসী সুকান্ত চক্রবর্তী ও অভিজিৎ মজুমদার। এই সংকলনের নাম ‘আমার বেদনা লহ বুঝি’। এর মুখবন্ধে দুই তরুণের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কবি শঙ্খ ঘোষ।
অ্যালবামটির জন্য সুকান্ত গেয়েছেন ‘পথপাশে মোর রচিনু দেউল’, ‘আজি আঁধার সাগর মগন’, ‘আজি এ নিশীথে জাগে একাকী’ এবং ‘যারে ভালোবেসেছিলি’। অভিজিৎ গেয়েছেন ‘পলাশরাঙা বাসনাগুলি’, ‘তোমার সুতায় গেঁথে লব’, ‘তারে কেমনে ধরিব হায়’ এবং ‘বলা যদি নাহি হয় শেষ’। দু'জনে দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছেন ‘বুঝেছি বুঝেছি তব বাণী’। যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন অম্লান হালদার।
ঈদ উপলক্ষে ‘আমার বেদনা লহ বুঝি’ বাজারে এনেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। অ্যালবামটি পাওয়া শাহবাগ আজিজ মার্কেটের সুরের মেলা, সুরকল্লোল, পাঠক সমাবেশ, নিউমার্কেট সংলগ্ন গানের ডালি, এলিফ্যান্ট রোডের গানের ভুবন, পান্থপথের বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স লেভেল ৬-এর গীতাঞ্জলী, বনানী ও ধানমণ্ডির অরণ্য ক্রাফট্স বিক্রয়কেন্দ্র, গুলশান ১ নম্বরের কুমুদিনী হ্যান্ডিক্র্যাফট্স, ধামমন্ডি রাপা প্লাজার হলিউড, বেইলি রোডের সাগর পাবলিশার্স, চট্টগ্রামের প্রেসক্লাব সংলগ্ন বাতিঘর ও লালখান বাজারের রাগেশ্রী বিক্রয়কেন্দ্র, সিলেটের জিন্দাবাজারের বইপত্রসহ ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরের সন্নিকটে ৭/এ সড়কের জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠের বিক্রয়কেন্দ্রে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
টিএস/জেএইচ