পাকিস্তানের মুলতানে শনিবার (১৬ জুলাই) খুন হয়েছেন ইন্টারনেট সেনসেশন কান্দিল বালোচ। হত্যাকারী তার আপন ভাই।
কান্দিল বালোচের শারীরিক গড়ন কিম কারদাশিয়ানের মতো বলে মনে করে অনেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই অর্ধনগ্ন সেলফি ও ফেসবুকে আবেদনময়ী ভিডিও আর মন্তব্য পোস্ট করতেন তিনি।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মডেলিং ছেড়ে না দিলে কান্দিলকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তার ভাই। এজন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী চেয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো সাড়া মেলেনি। তাই মা-বাবাকে নিয়ে ঈদের পর বিদেশে স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই তারকা।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় রুয়েত-ই-হিলাল কমিটির প্রাক্তন সদস্য মুফতি আব্দুল কাউইর সঙ্গে তোলা সেলফি ও ভিডিও শেয়ার দেওয়ার পর থেকে কান্দিলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে নিজের অবস্থান কাউকে জানাতেন না তিনি। তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ২৫ বছর।
কান্দিল বালোচের প্রকৃত নাম ফৌজিয়া আজিম। অনলাইনে তার সমালোচনা হলেও অবিচল মনোভাবের জন্য পাকিস্তানি যুবসমাজের প্রশংসা কুড়ান তিনি। গত ভালোবাসা দিবসের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরীফ পশ্চিমা ধাঁচের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবাণী দিয়েছিলেন, তার বিরোধিতা করে লাল রঙের পোশাক পরে ধারণকৃত একটি ভিডিও পোস্ট করেন কান্দিল। এতে লাইক পড়ে ৭০ হাজার।
দক্ষিণ পাঞ্জাবের দেরা গাজী খান জেলার শাহ সদর দিনে আদিবাসী-এলাকায় বেড়ে উঠেছিলেন কান্দিল বালোচ। বাসের অতিথিসেবিকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু হয় তার। মডেলিংয়ে যোগ দিয়ে নিজের নাম বদলান তিনি। ২০০৪ সালে স্কুলে পড়ার সময় প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ চষে বেড়ান কান্দিল।
সম্প্রতি কোত আড্ডুর আশিক হুসেন একটি টিভি সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, কান্দিলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিলো। এরপর বালোচ জানান, ১৭ বছর বয়সে জোরপূর্বক তাকে বিয়ে করলেও বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তাদের এক পুত্রসন্তান আছে। কান্দিলের অভিযোগ, দাম্পত্য জীবনের এক বছরে দিনরাত তাকে নির্যাতন করতেন আশিক। এক বছর পর পুত্রকে নিয়ে পালিয়ে দারুল আমানে শরণার্থী হন তিনি। তবে আশিকের দাবি, প্রেম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তারা। তাকে নিজের রক্ত দিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন কান্দিল।
বাংলাদেশ সময় : ১৩০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৬
জেএইচ